ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের উপরাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ফের (Jagdeep Dhankhar)। কারণ, প্রায় ১৭ মাস আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে নতুন বুলেটপ্রুফ গাড়ির আবেদন জানানো হলেও এখনও তা হাতে পাননি সদ্য ইস্তফা দেওয়া উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বাধ্য হয়ে গত নভেম্বর মাস থেকে একটি সাধারণ ইনোভা গাড়িতেই যাতায়াত করছেন তিনি। এই তথ্য সামনে এসেছে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনে।
পুরনো গাড়ি, ঝুঁকির আশঙ্কা (Jagdeep Dhankhar)
উপরাষ্ট্রপতির দফতর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রকে জানায়, তাঁদের হাতে থাকা তিনটি বিএমডব্লিউ গাড়ির অবস্থা খারাপ(Jagdeep Dhankhar)। দু’টির বয়স ছ’বছরের বেশি, আর একটির প্রায় পাঁচ বছর। দ্রুত একটি নতুন বুলেটপ্রুফ গাড়ির প্রয়োজন।
চার মাস পরে, জুনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ প্যানেল গঠিত হবে। কিন্তু তার পর আর কোনও অগ্রগতি হয়নি। অবশেষে ২৮ নভেম্বর উপরাষ্ট্রপতির দফতর সিদ্ধান্ত নেয়, আপাতত ইনোভা গাড়িতেই চলাচল করবেন উপরাষ্ট্রপতি।
‘জ়েড প্লাস’ নিরাপত্তার সঙ্গে মানানসই নয় ইনোভা (Jagdeep Dhankhar)
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ‘জ়েড প্লাস’ স্তরের নিরাপত্তা পান, যা দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনীগুলির মধ্যে একটি। সাধারণত প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি, মুখ্যমন্ত্রী ও বিচারপতিরা এই পর্যায়ের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। সেই নিরিখে একটি সাধারণ ইনোভা গাড়িতে যাতায়াত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

ধনখড়ের পদত্যাগ এবং রাজনৈতিক তর্ক (Jagdeep Dhankhar)
এই গাড়ি বিতর্কের মাঝেই ২১ জুলাই আচমকা পদত্যাগ করেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান। তবে বিরোধীরা মনে করছে, তাঁকে সরানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চাপ ছিল এবং এই পদত্যাগ রাজনৈতিক চাপের ফল।
ইরান-ভারত কূটনীতির আবহে আরও বিতর্ক (Jagdeep Dhankhar)
একই সময়ে, ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানির কারণে ভারতের ছয়টি সংস্থার উপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়েও আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপে রয়েছে নয়াদিল্লি(Jagdeep Dhankhar)। এই অবস্থায় উপরাষ্ট্রপতির গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ধীর গতি’ প্রশাসনিক অস্বচ্ছতা এবং ভিআইপি নিরাপত্তা ব্যবস্থার দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।

একজন উপরাষ্ট্রপতির যাতায়াতে নিরাপত্তা ব্যর্থতা এবং দীর্ঘসূত্রিতা কেবল প্রশাসনিক গাফিলতি নয়, এটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদারও পরিপন্থী। নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে, ধনখড়ের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের জন্য বড় শিক্ষা হয়ে রইল—সর্বোচ্চ পদাধিকারীদের নিরাপত্তা কোনও অবস্থাতেই অবহেলার শিকার হওয়া উচিত নয়।