ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে রাজ্যের (Jai Johar Scheme) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন। গত ১৪ বছরে আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গৃহীত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন তিনি।
‘জয় জোহার’ প্রকল্প (Jai Johar Scheme)
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল ‘জয় জোহার’ প্রকল্প (Jai Johar Scheme)। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যে তিন লক্ষেরও বেশি আদিবাসী মানুষ মাসে এক হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য এটি এক বড় সহায়তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে (Jai Johar Scheme)
তিনি জানান, রাজ্যে আলাদা করে আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর গঠন করা হয়েছে (Jai Johar Scheme), যার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আদিবাসী সমাজের নানা দিক নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ভাষাগত স্বীকৃতিতেও রাজ্য সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সাঁওতালি, কুরুখ, কুড়মালি, রাজবংশী, কামতাপুরি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, তেলুগু সহ একাধিক ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সাদরি ভাষার মানোন্নয়নেও সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে।
বিধানসভায় বিল পাস
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, আদিবাসী ধর্ম ‘সারনা/সারি’-কে স্বীকৃতি দিতে রাজ্য বিধানসভায় বিল পাস হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। জমির অধিকার সংক্রান্ত আইনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, যাতে আদিবাসী মানুষদের ভূমি সংরক্ষিত থাকে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৯.৫ লক্ষ এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষকে জমির অধিকার দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প
রাজ্যের বাজেট বরাদ্দ পূর্বের তুলনায় সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও তিনি জানান। ফরেস্ট রাইটস অ্যাক্টের অধীনে প্রায় ৪৯ হাজার আদিবাসী ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত বনভূমির পাট্টা এবং ৮৫১টি কমিউনিটিকে যৌথ বন পাট্টা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৩৬ হাজার দরিদ্র কেন্দুপাতা সংগ্রাহকদের জন্য বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু হয়েছে।

আরও পড়ুন: Birol Yog: ২৯৭ বছর পর বিরল গ্রহ সংযোগ, ৩টি রাশির ভাগ্য ফিরবে!
শুধু অর্থনৈতিক বা ভূমি অধিকারই নয়, সাংস্কৃতিক স্বীকৃতিতেও রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। সাঁওতালি অ্যাকাডেমি গঠন এবং ৮টি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, ভগবান বিরসা মুণ্ডা, পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিন, হুল দিবস ও করম পুজোর মতো উৎসবগুলোতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে সম্মান জানানো হয়েছে।