ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এস জয়শঙ্কর বলেন যে ১০ মে বেশ কয়েকটি দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছিল (Jaishankar confirms no call between Modi-Trump) যে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত। বিদেশমন্ত্রী বলেন যে ভারত সমস্ত দেশকে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা কেবলমাত্র ডিজিএমও-র মাধ্যমে হলেই বিবেচনা করা হবে।
ট্রেডের সঙ্গে সংঘাত থামানোর কোনও সম্পর্ক নেই: জয়শঙ্কর (Jaishankar confirms no call between Modi-Trump)
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারত-আমেরিকার আলোচনার মধ্যে কোথাও কোনও পর্যায়ে বাণিজ্য (ট্রেড) নিয়ে আলোচনা হয়নি (Jaishankar confirms no call between Modi-Trump)। লোকসভায় দাঁড়িয়ে এমনটাই স্পষ্টভাবে জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই বারংবার করা দাবি খারিজ করে দেন, যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ট্রেড ব্যবহার করে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামিয়েছিলেন। জয়শঙ্কর জানান, ২২ এপ্রিল থেকে ১৭ জুনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কোনও ফোনালাপই হয়নি।
অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন কী হয়েছিল (Jaishankar confirms no call between Modi-Trump)
অপারেশন সিন্দুরের সময় ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর জানান, সেই সময় আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করেছিলেন (Jaishankar confirms no call between Modi-Trump)। তিনি মোদিকে সতর্ক করে বলেন, পাকিস্তান থেকে একটি বিশাল হামলা আসতে চলেছে। উত্তরে মোদি বলেন, ভারত আরও জোরালোভাবে তার জবাব দেবে। এরপর জয়শঙ্কর জানান, ৯ ও ১০ মে পাকিস্তানের একাধিক হামলার চেষ্টা সফলভাবে প্রতিহত করেছিল ভারত।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কবে এল
জয়শঙ্কর বলেন, ১০ মে বিভিন্ন দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত। ভারত তখন সাফ জানিয়ে দেয়, তারা শুধু তখনই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসবে, যদি পাকিস্তান তা সরাসরি ডিজিএমও (Director General of Military Operations) চ্যানেলের মাধ্যমে জানায়।
বিরোধীদের আপত্তি ও অমিত শাহের জবাব
জয়শঙ্করের বক্তব্য চলাকালীন বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। সেই সময় হস্তক্ষেপ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমার আপত্তি এই যে, বিরোধীদের ভারতের বিদেশমন্ত্রীর উপরে বিশ্বাস নেই। ওদের দলে বিদেশের গুরুত্ব আমি বুঝি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের দলের সমস্ত বিষয় এখানে চাপিয়ে দিতে হবে। এটাই কারণ যে তারা এইদিকে (বিরোধী বেঞ্চে) বসে আছে এবং আগামী ২০ বছর এখানেই বসে থাকবে।”