ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সংশোধিত ওয়াকফ আইন (Jangipur Protest Against Waqf Bill) প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জঙ্গিপুর। বিলের প্রতিবাদে সংখ্যালঘু ছাত্র ও যুব সংগঠন পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপর চড়াও হয় জনতা। শান্তি ফেরাতে তৎপর প্রশাসন। আগেই এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি হয়েছে। এবার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবাও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজই জঙ্গিপুর যাওয়ার কথা বিধায়ক জাকির হোসেনের।
ছাত্র ও যুব সংগঠন পথে নেমে বিক্ষোভ (Jangipur Protest Against Waqf Bill)
বিলের প্রতিবাদে সংখ্যালঘু ছাত্র ও যুব সংগঠন পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় (Jangipur Protest Against Waqf Bill)। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপর চড়াও হয় জনতা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশের উপর চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। শান্তি ফেরাতে তৎপর প্রশাসন। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। ঘটনার পর গোটা রাত পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে জঙ্গিপুর মহকুমার রঘুনাথগঞ্জ ও সুতি এলাকা। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ফের এই ঘটনা না ঘটে তার জন্য একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
মিটিং-মিছিল, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা (Jangipur Protest Against Waqf Bill)
পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে জঙ্গিপুর মহকুমায় মিটিং-মিছিল, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে স্পষ্টত জানিয়েছে প্রশাসন। এর পাশাপাশি আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Jangipur Protest Against Waqf Bill)। রাজ্য পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি এখন পুরো নিয়ন্ত্রণে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ যাতে কোনও ভুল খবর বা গুজব না ছড়ান, সেই আর্জি জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Waqf Law: ‘আমাদের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই’ ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
লাঠিচার্জ করে পুলিশ
বিল প্রত্যাহারের দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে যায় বিক্ষোভকারীরা। সেই সময়ে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আর এই বিষয়টি নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যেরই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বাম সরকার আমলের তুলনা টেনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিদ্দিকুল্লা। তাঁর কথায়, ‘বাম জমানায় পুলিশ কিন্তু এভাবে লাঠিপেটা করেনি।’ প্রসঙ্গত, গত দুদিন ধরে জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে।
‘পুলিশের বাড়াবাড়ির জন্য এমন পরিস্থিতি’
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, পুলিশের বাড়াবাড়ির জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, চাকরি বাতিল ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা, ‘রাজ্যে পুলিশের গাড়িই জ্বলছে। অবিলম্বে প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামানো উচিত।’ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজই জঙ্গিপুর যাওয়ার কথা বিধায়ক জাকির হোসেনের।