ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বৃহস্পতিবার সকালে জম্মুর উধমপুরে (Udhampur Gunfight) তল্লাশি চালানোর সময়ে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। সেখানেই শহিদ হন জওয়ান ঝন্টু আলি শেখ। তিনি ৬ প্যারা SF-এ কর্মরত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ঝন্টুর বাড়ি নদিয়ার তেহট্ট ব্লকের পাথরঘাটায়।
শেষবার ফেব্রুয়ারিতে পাথরঘাটার বাড়ি আসেন (Udhampur Gunfight)
বছর সাঁইত্রিশের ঝন্টু প্যারা কম্যান্ডো ছিলেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ও মা। রয়েছেন দাদা, বউদি। গত ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তারই মাঝে সংসার পাতেন। স্ত্রী ও দুই সন্তানও রয়েছে তাঁর। বছর দেড়েক আগে কাশ্মীরে পোস্টিং। তাই স্ত্রী ও দুই সন্তানও কাশ্মীরেই থাকেন তাঁরা। ঝন্টু ছুটি পেলে মাঝেমধ্যে পাথরঘাটার বাড়িতে আসতেন। শেষবার ফেব্রুয়ারিতে পাথরঘাটার বাড়ি আসেন ঝন্টু ও তাঁর স্ত্রী-সন্তান (Udhampur Gunfight)। তারপর আর আসেননি। তার মাঝেই ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক ঘটনা।
সীমান্তবর্তী এলাকাও রয়েছে সেনার নজরে (Udhampur Gunfight)
২২ এপ্রিল, পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক (Udhampur Gunfight)। সেই ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে চলছে কড়া তল্লাশি ও নজরদারি। বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাও রয়েছে সেনার নজরে। উরি সেক্টর দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে সেনা। রাজৌরি, পুঞ্চগামীর রাস্তা, মুঘল রোডসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতে চলছে নজরদারি ও নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ।
জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শুরু হয় গুলির লড়াই
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝন্টু আলি শেখ ছিলেন ৬ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের একজন সাহসী জওয়ান। বৃহস্পতিবার সকালেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। অভিযানের সময় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শুরু হয় গুলির লড়াই। সেই গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ঝন্টু। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোক। গোটা তেহট্ট জুড়ে এখন শোকস্তব্ধ পরিবেশ। এই শহিদ জওয়ানের মৃত্যুতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র তাঁর সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “নদিয়ার তেহট্টের সাহসী সন্তান ঝন্টু আলি শেখের আত্মবলিদানকে আমি কুর্নিশ জানাই। তাঁর পরিবারের পাশে আমরা আছি।”
মৃত্যু সংবাদ শোনার পর থেকে চোখের জলে
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুঃসংবাদ পান তাঁর পরিবারের লোকজন। বড় জাকে কাঁদতে কাঁদতে ফোন করেন ঝন্টুর স্ত্রী। তারপর ফোন পান ঝন্টুর দাদা। তিনি জানতে পারেন ছোট ভাই আর নেই। গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছেন। ঝন্টুর দাদাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। তিনি বর্তমানে রয়েছেন কাশ্মীরে। তাই ফোন মারফৎ নিজের স্ত্রীকে দুঃসংবাদ জানান ঝন্টুর দাদা। বয়স্ক বাবা-মাকে এখনও এই খবর দেননি কেউ। তবে দেওরের মৃত্যু সংবাদ শোনার পর থেকে চোখের জলে ভাসছেন তাঁর বউদি অনিন্দিতা।পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের গুলিতে বাংলার তিনজন প্রাণ হারান। ফের বাংলার যুবকের মৃত্যুতে শোকাহত বাংলা।