ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আদালতের নির্দেশে পুলিশি নিরাপত্তায় সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে (Jogesh Chandra college)। এর মধ্যেই ফের তুমুল উত্তেজনা কলেজের ভিতরে। ক্ষোভে ফেটে পড়ল পড়ুয়ারা। পুজো দেখতে শিক্ষামন্ত্রী কলেজে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা।
রবিবার সরস্বতী পুজো। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ এবং যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ডে কলেজের বিবাদের মধ্যেই চলছে বাগদেবীর আরাধনা। সকালে কলেজ (Jogesh Chandra college) চত্বরে জড়ো হন পড়ুয়ারা। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যেই হয় সরস্বতী পুজো। কলেজের গেটের বাইরে পুলিশি প্রহরা রয়েছে। শুধু পুজো নয় বিসর্জনেও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ মেনে পরিচয়পত্র দেখে তবেই পড়ুয়াদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে কলেজের ভিতরে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার অজয় প্রসাদ নিজেও যান কলেজে।
আরও পড়ুন: Local Train Cancel: সপ্তাহান্তে যাত্রী ভোগান্তি, বাতিল শতাধিক লোকাল ট্রেন
আরও পড়ুন: Calcutta HC On CID: সংশোধনাগারে ৪ বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু, সিআইডি তদন্তে অনাস্থা হাইকোর্টের
বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য, মালা (Jogesh Chandra college)
বিতর্কের মাঝেই যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে (Jogesh Chandra college) পুজো দেখতে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও সাংসদ মালা রায়। ঠিক সেই সময়ই পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী। পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশের পড়েও কলেজে বহিরাগতেরা প্রবেশ করে চলেছেন। ক্যাম্পাসেই ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ ছাত্রীদের। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিক্ষোভ দেখিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তোলেন আইন বিভাগের পড়ুয়ারা।
বিক্ষোভের পর চার ছাত্রীকে অধ্যক্ষের ঘরে ডেকে বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু। বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলার পরে প্রতিমা দর্শন করে কলেজ থেকে বেরিয়ে যান শিক্ষামন্ত্রী। আইন কলেজের (Jogesh Chandra college) পুজো দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয় সাংসদ তথা কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য মালা। কলেজ থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘পুজোর দিনে বিচার চাই স্লোগান শুনব না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব রকম পুজো, উৎসবে উৎসাহ দেন। সেই মতো সব ছাত্র-ছাত্রীরা পুজোয় শামিল হবেন, এটাই চাইব।’