ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাইকে ভারতের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়েছে (New CJI of India)। তিনি ১৪ মে, ২০২৫ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি হলেন ভারতের ৫২তম প্রধান বিচারপতি।
দ্রৌপদী মুর্মুর নিয়োগ, শীঘ্রই অবসর নেবেন বর্তমান মুখ্য বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (New CJI of India)
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভুষণ রামকৃষ্ণ গাভাই-কে ভারতের নতুন মুখ্য বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন (New CJI of India)। আগামী ১৪ মে ২০২৫ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্স (X)-এ লেখেন, “ভারতীয় সংবিধানের ক্ষমতা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ভুষণ রামকৃষ্ণ গাভাই-কে ভারতের মুখ্য বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করলেন। এই নিয়োগ ১৪ মে ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।”
বর্তমান মুখ্য বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ১৩ মে অবসর নিচ্ছেন।
মাত্র ছয় মাসের জন্য মুখ্য বিচারপতি থাকবেন গাভাই (New CJI of India)
ভুষণ গাভাই হবেন ভারতের ৫২তম মুখ্য বিচারপতি (New CJI of India)। তবে তাঁর কার্যকাল হবে মাত্র ছয় মাস, কারণ নভেম্বর ২০২৫-এ তিনি অবসর নেবেন। ২০১৯ সালের ২৪ মে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর জন্ম ১৯৬০ সালের ২৪ নভেম্বর, মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে। তাঁর বাবা, আরএস গাভাই, বিহার ও কেরলের প্রাক্তন রাজ্যপাল ছিলেন এবং একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ছিলেন।
বিচারপতি হিসেবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, ছিলেন মহারাষ্ট্র হাইকোর্টে
ভুষণ গাভাইই বিচারব্যবস্থায় নিজের কর্মজীবন শুরু করেন ২০০৩ সালের ১৪ নভেম্বর, বম্বে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। ২০০৫ সালের ১২ নভেম্বর তিনি স্থায়ী বিচারপতি হন। তিনি ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুম্বই, নাগপুর, ঔরঙ্গাবাদ ও পানাজিতে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি হবেন দ্বিতীয় মুখ্য বিচারপতি, যিনি তফসিলি জাতিভুক্ত সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। এর আগে, বিচারপতি কে জি বালাকৃষ্ণন ছিলেন প্রথম মুখ্য বিচারপতি যিনি এই সম্প্রদায় থেকে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: NSA Board Revamped: আলোক জোশিকে চেয়ারম্যান করে পুনর্গঠিত হল ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজরি বোর্ড
গুরুত্বপূর্ণ রায়: নোটবন্দি, ইলেকটোরাল বন্ড, অবৈধ ভাঙচুর
ভুষণ গাভাই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। ২০১৬ সালের নোটবন্দি সংক্রান্ত মামলায় তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মত দেন, যেখানে তিনি জানান যে, কেন্দ্র সরকার মুদ্রা অচল ঘোষণার অধিকার রাখে এবং সেই সিদ্ধান্ত ‘প্রপারশনালিটি টেস্ট’-এ পাশ করেছে। একটি ঐতিহাসিক রায়ে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পত্তি যথাযথ আইন প্রক্রিয়া ছাড়া ভাঙা অসাংবিধানিক। নির্বাহী বিভাগ নিজে বিচারক হয়ে এভাবে ভাঙচুর করতে পারে না।
তিনি সেই বেঞ্চের সদস্যও ছিলেন, যেটি ইলেকটোরাল বন্ড স্কিমের সাংবিধানিক বৈধতা পর্যালোচনা করেছিল। এই মামলায় রাজনৈতিক অর্থ জোগানের স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠেছিল।