ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) লিবারেল পার্টির নেতা পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ এই খবর জানিয়েছে।
এই সপ্তাহেই ঘোষণা হতে পারে (Justin Trudeau)
কানাডার সংবাদপত্র মেইল অ্যান্ড গ্লোব-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রুডোর (Justin Trudeau) প্রশাসনের নাম না প্রকাশ করা কিছু সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এই সপ্তাহেই তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন।
লিবারেল পার্টির আইনপ্রণেতারা এই বুধবার ককাস বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানে বারবার দলনেতা হিসাবে ট্রুডোর (Justin Trudeau) পদত্যাগের দাবি উঠে আসা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: RAW Activity: পাকিস্থানের মাটিতেই জঙ্গি দমন করছে ভারত!
তবে, এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে তিনি শুধুমাত্র লিবারেল পার্টির নেতা পদ থেকে ইস্তফা দেবেন নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকেও সরে দাঁড়াবেন। যদি তিনি দলনেতা পদ ছেড়ে দেন, তবে লিবারেল পার্টিতে নতুন নেতার নির্বাচন হবে। সেই নতুন নেতা কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
চাপ বাড়ছে ট্রুডোর উপর (Justin Trudeau)
গত ১৬ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করার পর থেকে ট্রুডো ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন। ফ্রিল্যান্ড একটি প্রকাশ্য চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে (Justin Trudeau) সমালোচনা করে পদত্যাগ করেছিলেন।
ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর থেকে ট্রুডো (Justin Trudeau) জনসমক্ষে খুব কমই উপস্থিত হয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সময় নিজের ছুটি কাটিয়েছেন পশ্চিম কানাডার একটি রিসোর্টে এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি।
অর্থনৈতিক চাপে দল এবং প্রধানমন্ত্রী
কানাডার অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় লিবারেল পার্টির জনপ্রিয়তা কমছে। ন্যানোস রিসার্চ-এর সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনের বছরে কনজারভেটিভ পার্টি লিবারেলদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে।
লিবারেলদের ১৫৩টি আসনের বেশিরভাগ হারানোর আশঙ্কায় দল এখন দেশজুড়ে প্রচার অভিযান শুরু করেছে। তারা প্রচারে দাবি করছে যে কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় এলে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প কেটে দেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। ফলে সীমান্ত প্রদেশগুলির লিবারেল নেতারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ট্রুডোর উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন।
লিবারেল পার্টির নেতা কোডি ব্লোইস এক চিঠিতে বলেছেন, “দেশ অর্থনৈতিক অস্থিরতার মুখে পড়তে পারে, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য হুমকির কারণে।”
ন্যানোস রিসার্চ-এর প্রতিষ্ঠাতা নিক ন্যানোস বলেছেন, “দলনেতা হিসাবে ট্রুডোর পদত্যাগ মার্কিন নতুন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে তাদেরকে দুর্বল অবস্থানে ফেলে দিতে পারে।”