Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন তারকা জ্বালা (Jwala Gutta) গুট্টা এক অনন্য সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে নজির গড়লেন। সদ্য মা হওয়া জ্বালা এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ লিটার স্তন্যদুগ্ধ দান করেছেন একটি সরকারি হাসপাতালে। এই উদ্যোগ বহু অসুস্থ, প্রিম্যাচিওর এবং মা-হীন শিশুদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করছে।
দ্বিতীয় সন্তান আসার পরই এই সিদ্ধান্ত (Jwala Gutta)
চলতি বছরের এপ্রিলে জ্বালা ও তাঁর স্বামী, অভিনেতা ও প্রযোজক বিষ্ণু বিশালের (Jwala Gutta) ঘরে আসে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান, একটি কন্যাসন্তান। সন্তানের জন্মের পরই স্তন্যদুগ্ধ দানের বিষয়ে সক্রিয়ভাবে ভাবতে শুরু করেন জ্বালা। সমাজমাধ্যমে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি লেখেন, “মায়ের দুধ জীবন বাঁচায়। যারা সময়ের আগেই জন্মায় বা অসুস্থ, তাদের জন্য এই দুধ অত্যন্ত জরুরি। যারা স্তন্যদুগ্ধ দান করতে পারেন, তারা কোনও এক পরিবারে প্রকৃত নায়ক হয়ে উঠতে পারেন।”
স্তন্যদুগ্ধ দানের গুরুত্ব নিয়ে পোস্ট শেয়ার (Jwala Gutta)
গত আগস্টে নিজের এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডেলে জ্বালা স্তন্যদুগ্ধ দানের (Jwala Gutta) গুরুত্ব নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যা ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই তাঁর এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মা হিসেবে নিজের মাতৃত্বকালীন অভিজ্ঞতা থেকেই জ্বালার এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে।
সংবেদনশীল অধ্যায়
কিন্তু এই মানবিকতার পেছনে রয়েছে এক দীর্ঘ এবং সংবেদনশীল অধ্যায়। বিষ্ণু বিশাল এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁরা প্রায় দু’বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু বয়স ও শারীরিক সমস্যার কারণে বারবার IVF (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হন। জ্বালা এক সময় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।

পাশে দাঁড়ান বলিউড সুপারস্টার আমির খান
ঠিক তখনই পাশে দাঁড়ান বলিউড সুপারস্টার আমির খান। তিনি দম্পতিকে মুম্বই আসার আমন্ত্রণ জানান এবং এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, জ্বালাকে নিজের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ১০ মাস থাকতে দেন, যাতে তাঁর মানসিক ও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়।
আরও পড়ুন: ITR Filing: ভুয়ো খবরে কান নয়, আজই ITR ফাইলের শেষ দিন!
এরপর একাধিক IVF সাইকেলের পর অবশেষে গর্ভবতী হন জ্বালা। সেই কন্যাসন্তান আজ তাঁদের জীবনের “মীরা”। আমির খানের ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বিষ্ণু বলেন, “আমির স্যর না থাকলে আমরা মীরাকে পেতাম না। তাই আমরা চাই তিনি মীরার নামকরণ করুন।” এই আবেগঘন সফরের পর, জ্বালার স্তন্যদুগ্ধ দান যেন শুধু সামাজিক দায়বদ্ধতা নয়, বরং মায়া, কৃতজ্ঞতা এবং সহানুভূতির এক জীবন্ত উদাহরণ। তাঁর এই পদক্ষেপ সমাজের অনেক মায়ের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে।