Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে (K2-18 b Atmosphere) আবার এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের সামনে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত K2-18 b নামের এক গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনার বড়সড় ইঙ্গিত মিলেছে। আর সেই আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (JWST)-এর অগ্রণী ভূমিকা।
এক্সোপ্ল্যানেট আবিস্কার (K2-18 b Atmosphere)
K2-18 b একটি এক্সোপ্ল্যানেট— অর্থাৎ এটি আমাদের সৌরজগতের (K2-18 b Atmosphere) বাইরে অবস্থিত। এটি K2-18 নামের একটি লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে, যার অবস্থান পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০০ ট্রিলিয়ন মাইল দূরে। পৃথিবীর তুলনায় এই গ্রহের ব্যাস ২.৬ গুণ বড় এবং এটি মাত্র ৩৩ দিনে নিজের নক্ষত্রকে একবার প্রদক্ষিণ করে। অর্থাৎ আলো ও উত্তাপের পরিমাণও তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খায়।
প্রাণ থাকার সম্ভাবনা! (K2-18 b Atmosphere)
এই গ্রহের সন্ধান প্রথমে Kepler Space Telescope (K2-18 b Atmosphere) পেলেও, সম্প্রতি James Webb Space Telescope দিয়ে এর বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণ করে রোমাঞ্চকর তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। K2-18 b-র বায়ুমণ্ডলে পাওয়া গিয়েছে ডাইমিথাইল সালফাইড (DMS) ও ডাইমিথাইল ডিজালফাইড (DMDS) নামের দুটি রাসায়নিক যৌগ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই দুটি গ্যাসই পৃথিবীতে প্রাণঘটিত উৎস থেকেই তৈরি হয়— মূলত সামুদ্রিক শৈবাল ও অণুজীব, বিশেষ করে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের মাধ্যমে। তাই এই গ্যাসগুলির অস্তিত্ব K2-18 b-তে পাওয়া মানেই সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সম্ভাব্য প্রমাণ রয়েছে!
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমির বিজ্ঞানী অধ্যাপক নিক্কু মধুসূদন জানিয়েছেন, “আমরা এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে স্পষ্টভাবে বলা যায়, এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাব্য প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।” তাঁর মতে, আগামী এক-দু’বছরের মধ্যে আমরা নিশ্চিত করতে পারব, আদৌ প্রাণ আছে কি না।
মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত
অধ্যাপক মধুসূদনের আরও দাবি, K2-18 b-র বায়ুমণ্ডলে DMS এবং DMDS-এর ঘনত্ব পৃথিবীর তুলনায় বহু গুণ বেশি। এই তথ্য মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। যদি সত্যিই সেখানে প্রাণ থাকে, তবে মহাকাশে আরও বহু জায়গায় প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের অভূতপূর্ব ক্ষমতা এই গবেষণায় নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে বিজ্ঞানী মহলে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা— সত্যিই কি একা নয় মানব সভ্যতা? উত্তর হয়তো লুকিয়ে আছে K2-18 b-র আকাশে।