ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কর্নাটকে(Karnataka CM Siddaramaiah) জমি বণ্টন দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি পেলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ৩ হাজার কোটির কেলেঙ্কারিতে সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী এবং অন্য অভিযুক্তকে বুধবার ক্লিনচিট দিয়েছে সে রাজ্যের লোকায়ুক্ত। তাঁর স্ত্রী-সহ অন্য তিন অভিযুক্তকেও বুধবার ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। তদন্তে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া এবং তাঁর সহ-অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইন লঙ্ঘনের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
মাইসুরু নগরোন্নন নিগমের জমি বণ্টন (Karnataka CM Siddaramaiah)
কর্নাটকের মাইসুরু নগরোন্নন নিগমের জমি বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর সেই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া(Karnataka CM Siddaramaiah), তাঁর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার স্ত্রী এবং শ্যালকের নামে ৫৬ কোটি টাকার বিনিময়ে মাইসুরুর অভিজাত এলাকায় জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে তথ্যের অধিকার আইনে জানা গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, বাজারে জমির যে দাম তার থেকে অনেক কম দামে সেই জমি দেওয়া হয়েছিল।
মামলা করার অনুমতি রাজ্যপালের (Karnataka CM Siddaramaiah)
সিদ্দারামাইয়ার(Karnataka CM Siddaramaiah) বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গহলৌত। হাইকোর্টের সম্মতিতে লোকায়ুক্ত পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এফআইআর দায়ের করা হয় অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সিদ্দারামাইয়াকে। ওই দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এরপর মামলাটি লোকায়ুক্তের হাত থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই দাবিতে তিনি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী। যদিও আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। এবার সিদ্দারামাইয়া-সহ অভিযুক্তদের ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত।
আরও পড়ুন: Rekha Gupta: চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেল রাজধানী, বৃহস্পতিবারই শপথগ্রহণ
হাইকোর্টে আরেকটি চূড়ান্ত রিপোর্ট
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া(Karnataka CM Siddaramaiah) ও তাঁর স্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়ার পাশাপাশি লোকায়ুক্ত পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মাইসোর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (মুডা) ক্ষতিপূরণের জমি দিয়েছিল ৫০:৫০ অনুপাতে ৷ এই অভিযোগের আরও তদন্ত হবে ৷ সিআরপিসির ১৭৩ নম্বর ধারায় হাইকোর্টে আরেকটি চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে ৷মুডার জমি বিতরণ মামলায় অভিযোগ উঠেছে, মাইসুরুর খাস বাজার এলাকায় সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে কমপেনসেটরি জমি দেওয়া হয়েছিল ৷ মুডা সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রীর যে জমি অধিগ্রহণ করে, তার তুলনায় এই জমির দাম যথেষ্ট চড়া ছিল ৷
পুলিশের মামলাকারী কৃষ্ণাকে চিঠিতে
তথ্যের অধিকার কর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণ অভিযোগ তোলেন, বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দামে বরাদ্দ হয়েছিল ওই জমি। এই মামলার মূল মামলাকারী স্নেহময়ী কৃষ্ণাকেই তলব করা হয়েছে। লোকায়ুক্ত পুলিশ মামলাকারী কৃষ্ণাকে চিঠিতে জানিয়েছেন, “প্রথম অভিযুক্ত থেকে শুরু করে চতুর্থ অভিযুক্ত পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ চূড়ান্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে ৷” সমাজকর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণা বলেন, “যে আধিকারিকরা নিজেদের বিবেক বিক্রি করে দিয়েছেন, তাঁরাই এধরনের রিপোর্ট দিতে পারেন ৷” যদিও ইডি এখনও সিদ্ধার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। ফলে এখনই পুরোপুরি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন না কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।