ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যজুড়ে বন্ধ থাকবে প্রায় ১০৮০০ টিরও বেশি মদের দোকান। দুর্নীতি রুখতে এবার ধর্মঘটের ঘোষণা ব্যবসায়ীদের। আগামী ২০ নভেম্বর কর্ণাটকে (Karnataka) বন্ধ থাকবে সমস্ত মদের দোকান। সমস্যায় পড়তে পারেন সুরাপ্রেমীরা। কিনতে হতে পারে ভিনরাজ্য থেকে।
দিল্লির পর এবার দক্ষিণ ভারত, আবগারী দুর্নীতির অভিযোগ উঠল কর্ণাটকে। রাজ্যের আবগারি দফতরে ব্যপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ফেডারেশন অফ ওয়াইন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (Federation of Wine Merchants Association)। রাজ্যের আবগারি আধিকারিকদের দুর্নীতি এবং হয়রানির পৌঁছেছে উচ্চ পর্যায়ে। এর প্রতিবাদে আগামী ২০ নভেম্বর বন্ধ থাকতে চলেছে মদের দোকান। সরকারি দোকান খোলা থাকলেও ছোট থেকে বড় সমস্ত বেসরকারি মদের বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ফেডারেশন অফ ওয়াইন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের।
আরও পড়ুন: দূষিত রাজধানী! দৃশ্য দূষণে পাকিস্তানকে পিছোনে ফেলে এগিয়ে দিল্লি
কর্ণাটক স্টেট ওয়াইন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, আবগারি দফতরকে রাজ্যের অর্থ দফতরের অধীনে আনতে হবে। কর্ণাটক (Karnataka) স্টেট ওয়াইন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বি গোবিন্দরাজ হেগডে জানিয়েছেন, তাদের দাবি মানার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর একটা সভা করা উচিত।’ রাজ্যে আবগারি বিভাগের জন্য কোনও আলাদা আইন নেই। তাই অর্থমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অর্থ বিভাগের সঙ্গে আবগারি দফতরকে একীভূত করার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: http://নাবালিকা স্ত্রী সঙ্গে যৌন সম্পর্কও ধর্ষণ, পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের
বলাবাহুল্য, নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্ণাটকে (Karnataka) ভোট প্রচারের জনসভায় বলেছিলেন, নির্বাচনের জন্য রাজ্যের মদ ব্যবসায়ীদের থেকে ৭০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে’। তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন যে তহবিলগুলি মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে উপনির্বাচন প্রচারে সমর্থন করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। বিজেপির দাবিকে সমর্থন করে তিনি বলেন, কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতারা রাজনৈতিক লাভের জন্য তহবিলের অপব্যবহার করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর থেকে শুরু হয় বিতর্ক।