ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, প্রতারণা এবং জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে পুলিশ হাজিরার নোটিশ পাঠাতেই এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামীকাল তথা ২ জুলাই, বুধবার শুনানির সম্ভাবনা।
গত ২৮ জুন কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায় কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, প্রতারণা এবং জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল তথা সোমবার নবগ্রাম থানার পুলিশ বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সংঘের অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্তিক মহারাজকে হাজিরার নোটিস দিয়ে আসে। তাঁকে মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের দ্বারস্থ কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)
হাজিরার নোটিশ উপেক্ষা করে মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করার আবেদন আদালতে জানিয়েছে তিনি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামীকাল অর্থাৎ ২ জুলাই বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: SSC: নতুন নিয়োগে চিহ্নিত অযোগ্যদের সুযোগ কেন? হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে এসএসসি
অভিযোগকারী মহিলা দাবি করেন, ২০১৩ সালে কার্তিক মহারাজ তাঁকে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার চাণক্য এলাকায় এক আশ্রমের প্রাইমারি স্কুলে তাঁকে শিক্ষিকার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেন। স্কুলে থাকার জন্য তাঁকে একটি ঘরও দেওয়া হয়। এক রাতে আচমকাই সেখানে মহারাজ (Kartik Maharaj) হাজির হন এবং তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। বাধ্য হয়ে তিনি তা মেনে নেন বলে জানান অভিযোগকারিণী। তাঁর আরও অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হতো। এমনকি, তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে জোর করে তাঁর গর্ভপাতও করানো হয়।

এরপরই গত ২৮ জুন কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে নবগ্রাম থানায় অভিযোগ করেন ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্তিক মহারাজকে নোটিশ পাঠিয়ে মঙ্গলবার সকাল দশটার মধ্যে থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা বলে পুলিশ। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
আরও পড়ুন:Calcutta High Court: কসবার গণধর্ষণকাণ্ডে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা, মামলা দায়েরের অনুমতি বিচারপতির
শাসক-বিরোধী তরজা (Kartik Maharaj)
কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসার পরই রাজ্যে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। কসবা ল কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় যেমন শাসক দল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। তখন কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণের হাতিয়ার করেছেন তৃণমূলও। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ক্ষেত্রে কেন বিজেপি চুপ? কেন তারা নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছে না? সেই প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেথে তৃণমূল।