ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কসবার আইন কলেজে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ধর্ষণকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত সহ ধৃত চার জনকে মঙ্গলবার ফের আলিপুর আদালতে তোলা হবে (Kasba Case)। মূল অভিযুক্ত, কলেজের প্রাক্তনী এবং অস্থায়ী কর্মী ‘এম’-কে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে দুই ছাত্র ‘জে’ ও ‘পি’। শুক্রবার তিন অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে মঙ্গলবার ফের তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে।
ধৃত কলেজের রক্ষীতে আজ আদালতে পেশ (Kasba Case)
ঘটনার রাতে কলেজ চত্বরে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীকে পরবর্তীতে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, ধর্ষণের সময় তাঁকে বাইরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তাঁকেও মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: কসবার গণধর্ষণকাণ্ডে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা, মামলা দায়েরের অনুমতি বিচারপতির
গোপনীয়তা লঙ্ঘনের চেষ্টা, কড়া বার্তা কলকাতা পুলিশের (Kasba Case)
মঙ্গলবার সকালে সমাজমাধ্যমে একটি সতর্কবার্তা পোস্ট করেছে কলকাতা পুলিশ। জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার নাম ও পরিচয় ফাঁস করার চেষ্টা করা হচ্ছে—এমন তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে (Kasba Case)। লালবাজারের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, এই ধরনের কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন: Kasba : কসবায় কলেজকক্ষে ধর্ষণে অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ ‘স্পষ্ট’! বিরোধীদের কাঠগোড়ায় পুলিশ-শাসক দল
কলকাতা পুলিশের পোস্টে লেখা হয়েছে, “কসবার ঘটনায় গোপন নথি ছড়িয়ে কিংবা অন্য কোনও উপায়ে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আইনের লঙ্ঘন।” যদিও কে বা কারা এই কাজ করছেন, তা জানায়নি পুলিশ। সকলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার সম্মান এবং গোপনীয়তা রক্ষা করা সকলের আইনি দায়বদ্ধতা।
SIT গঠন, সিসিটিভি ফুটেজ মিলছে নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে (Kasba Case)
তদন্তে গতি আনতে গঠিত হয়েছে ৯ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। নেতৃত্বে রয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষাল। তাঁরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন (Kasba Case)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, যা নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।