ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীর ফের অশান্তির (Kashmir Terror Attack) পথে? গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের রক্তাক্ত ঘটনার পরে জম্মু ও কাশ্মীরে ফের বড়সড় জঙ্গিহানার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সতর্কবার্তা সামনে আসতেই তড়িঘড়ি কড়া পদক্ষেপ নিল উপত্যকার প্রশাসন। পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জম্মু-কাশ্মীর সরকার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্যের ৪৮টি পর্যটন কেন্দ্র।
সোমবার রাত থেকেই বন্ধ (Kashmir Terror Attack)
সোমবার রাত থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিনথান টপ, ইউসমার্গ, বাঙ্গাস ভ্যালি (Kashmir Terror Attack), শ্রুঞ্জ জলপ্রপাত, গোগালদারা, কামানপোস্ট, অষ্টান্মার্গ-সহ একাধিক জনপ্রিয় স্থান। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে দুধপাথরি, আহরবাল, কাউসারনাগ, উলার, রামপোরা, রাজপোরা, সূর্য মন্দির, বাবরেশি, বাদামওয়ারি, দাচিগাম ও নারানাগের মতো পর্যটনকেন্দ্র।
এসব জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ (Kashmir Terror Attack)
কাশ্মীরের ৮৭টি অনুমোদিত পর্যটনস্থলের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ আপাতত (Kashmir Terror Attack) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। সরকারের দাবি, এসব জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পড়ায় আপাতত বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় ছিল না।
একাধিক ‘স্লিপার সেল’ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে সক্রিয়
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। হামলাকারীদের এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি। বরং গোয়েন্দারা সতর্ক করে জানিয়েছেন, শীঘ্রই ‘প্রত্যাঘাত’ হানার ছক কষছে জঙ্গিরা। একাধিক ‘স্লিপার সেল’ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলেও খবর।
বাড়তি বাহিনী মোতায়েন
জম্মু-কাশ্মীরের এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, গুলমার্গ, সোনমার্গ, ডাল লেকের মতো এখনও যে পর্যটনকেন্দ্রগুলি খোলা রয়েছে, সেখানেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। প্রতিটি এলাকায় বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে নজরদারির পরিসর।

একাধিক জায়গায় জোরদার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান
সূত্রের খবর, পহেলগাঁও হামলার পর থেকে শ্রীনগর, ডোডা এবং কিশ্তোয়ারের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে জোরদার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। গত ছ’দিনে নিরাপত্তা বাহিনী উপত্যকার অন্তত ৬০০টি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।
কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প এই বছর ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলা এবং ফের সম্ভাব্য জঙ্গিহানার আশঙ্কায় পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতির উপর বড় ধাক্কা পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের তরফে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও পরিস্থিতি যে এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তা দিনের পর দিন নতুন তথ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এখন গোটা দেশের নজর কাশ্মীরের ওপর — কীভাবে রোখা যায় পরবর্তী হামলার ছক।