Last Updated on [modified_date_only] by Aditi Singha
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অনেকেই বিশেষ সময়ে, বিশেষ করে পুজোর আগে ঝটপট (Keto Diet) ওজন ঝরানোর জন্য কিটো ডায়েট শুরু করেন। এই ডায়েটে মূলত কার্বোহাইড্রেট প্রায় সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়া হয় এবং ফ্যাট-প্রোটিন জাতীয় খাবারকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর ফলে শরীরে কিটোসিস প্রক্রিয়া শুরু হয়। অর্থাৎ, শরীর কার্বোহাইড্রেটের বদলে জমে থাকা ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে এবং সেখান থেকে শক্তি পায়। এভাবেই দ্রুত ওজন কমতে থাকে।

কার্বোহাইড্রেট বাদ দেবেন না! (Keto Diet)
অনেকেই কিটো ডায়েট শুরু করার পর প্রথম দিন থেকেই ভাত, রুটি, আলু বা ডাল জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া বন্ধ করে দেন। এটা একেবারেই সঠিক নয়। শরীর বছরের পর বছর কার্বোহাইড্রেট থেকেই শক্তি পেতে অভ্যস্ত। হঠাৎ করে সেটা কেটে দিলে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, বমি ভাব, হজমের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই ধীরে ধীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমাতে হবে, যাতে শরীর ধাপে ধাপে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।

পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি (Keto Diet)
ডায়েটের সময় অনেকেই জল খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখেন না। কিন্তু কিটো ডায়েটের সময় শরীর থেকে দ্রুত জল ও ইলেকট্রোলাইট বের হয়ে যায়। এর ফলে ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল খাওয়া উচিত। পাশাপাশি নারকেলের জল, হার্বাল টি বা স্যুপের মতো তরল খাবারও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে।

শাকসব্জি বাদ দেবেন না (Keto Diet)
অনেকে মনে করেন কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট একেবারেই খাওয়া যাবে না। তাই শাকসব্জিও বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু এটা বড় ভুল। শাকসব্জিতে কম পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকলেও প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে। এগুলো শরীরের জন্য অপরিহার্য। বিশেষ করে ফাইবার না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে, হজমে সমস্যা দেখা দেবে এবং ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতেও বাধা আসবে। তাই ব্রোকলি, পালং শাক, ফুলকপি, জুচিনি, লেটুস ইত্যাদি শাকসব্জি অবশ্যই ডায়েটে রাখা দরকার।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেছে নিন (Keto Diet)
কিটো ডায়েটে ফ্যাট খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হয়। কিন্তু ফ্যাট মানেই ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ট্রান্স-ফ্যাট নয়। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর বদলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেছে নিতে হবে। যেমন—ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার। আখরোট, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, ফ্ল্যাক্স সিডস, চিয়া সিডস এগুলো শরীরকে শুধু ফ্যাট সরবরাহই করে না, বরং হৃদ্যন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্যও ভালো।
মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রাখুন (Keto Diet)
কিটো ডায়েটে শরীরে কার্বোহাইড্রেট কমলে স্বাভাবিকভাবেই সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এর ফলে দুর্বলতা, পেশিতে টান, মাথা ঘোরা এমনকি হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাও হতে পারে। তাই ডায়েটে পর্যাপ্ত খনিজ উপাদান থাকা খুব দরকার। খাবারে লবণের সঠিক পরিমাণ রাখা, পালং শাক, অ্যাভোকাডো, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার খাওয়া—এসব শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: Durga Puja: প্রেমের প্রথম পুজো হোক স্মরণীয়! সঙ্গীর মন জিততে মেনে চলুন এই ৬ টিপস
কিটো ডায়েট অনেকের জন্য কার্যকর হতে পারে, আবার অনেকের শরীরের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। তাই যাঁরা ওজন কমানোর জন্য এই ডায়েট বেছে নিতে চান, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর একান্তই করলে, উপরোক্ত ৫টি ভুল এড়িয়ে চললে শরীর সুস্থ রেখে ওজন কমানো সম্ভব হবে।