ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নতুন বছরে কমার্শিয়াল (Commercial) সিনেমার প্রত্যাবর্তন। শীঘ্রই পর্দায় আসতে চলেছে নতুন একটি বাণিজ্যিক ছবি (Khacha)। যেখানে হিরোর ভূমিকায় দেখতে পাবেন সিনেবাপ মৃন্ময়কে (CINEBAP MRINMOY) । ‘মীরাকেল্ল’-এর পর আবার মৃন্ময়-মীর একসঙ্গে। জাতীয় স্তরে বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্ত, দর্শক সমাদৃত, রাফায়ত রশীদ মিথিলা অভিনীত ‘ও অভাগী’ চলচিত্রের সফল যাত্রাপথের পর স্বভূমী এন্টারটেইনমেন্ট ও ডঃ প্রবীর ভৌমিকের আগামী নিবেদন ‘খাঁচা’। সহ প্রযোজনায় সিনেবাপ এন্টারটেইনমেন্ট। পরিচালনায় অনির্বাণ চক্রবর্তী। ‘খাঁচা’ শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়, প্রকৃত অর্থে জনস্বার্থে প্রচারিত এক বার্তা।
খাঁচার কলাকুশলী (Khacha)
সিনেবাপ’ মৃন্ময়কে দেখতে পাবেন কমলেশের ভূমিকায় (Khacha)। মামার চরিত্রে রজতাভ দত্ত। এছাড়াও রয়েছেন মীর (মাহাতো), প্রত্যুষা পাল (রাধিকা) ,অনিন্দ্য ব্যানার্জি (সম্পদ), কাঞ্চনা মৈত্র (মামী), সোনালী চৌধুরী (কমলেশের মা), কৃষ্ণ ব্যানার্জি, ইমন চক্রবর্তী, অরুণাভ দত্ত, নবাগতা পূজা চ্যাটার্জী এবং অন্যান্যরা।
ছবির মূল গল্প (Khacha)
নুন আনতে পান্তা ফুরানো, হতদরিদ্র গ্রাম টিয়াবন দেখতে আপাত দৃষ্টিতে শান্ত (Khacha)। পুলিশের খাতাতেও কোনও ব্যাপারেই খুব একটা অভিযোগ জমা পড়ে না। তবে আসলে সেখানে বা তার আশেপাশের বেশ কিছু গ্রামে গভীরভাবে কান পাতলে বোঝা যায়, শান্ত জায়গা হলেও মোটেও শান্তিতে নেই। এক বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে গোটা এলাকা জুড়ে। গত তিরিশ বছর ধরে লেবার ট্রান্সপোর্টের ব্যবসার নামে এক বিরাট নারী পাচার চক্র চালায় বিশ্বম্ভর বিশ্বাস ওরফে মামা এবং তার প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী দেবী ওরফে মামী। কত ছোট ছোট নিষ্পাপ মেয়ের জীবন যে ওরা নষ্ট করে চলেছে তার ইয়ত্তা নেই।
আরও পড়ুন: Puber Moyna Upcoming Episode: শেষ হয়েও, আবার শুটিং শুরু! এখনই শেষ হচ্ছে না ‘পুবের ময়না’
লড়াইয়ের গল্প
কমলেশ ওই গ্রামেরই ছেলে। ছোটবেলায় তার দিদিকে মামী এবং তার দলবল তুলে নিয়ে গিয়েছিল তার সামনেই। তার লড়াই চলছে মামার বিরুদ্ধে, মামীর বিরুদ্ধে। সে সব অসাধু মানুষগুলোর বিরুদ্ধে, যারা এই সমাজকে কলুষিত করেছে, যারা গরিব মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে তাদের মেয়ে বউদের পাচার করে দিচ্ছে। খাঁচার কাহিনীর পরতে পরতে রয়েছে রোমহর্ষক দ্বন্দ্ব, আর অধর্মের অধঃপতনের দুর্ধর্ষ সংঘাতের অ্যাকশন। টানটান চিত্রনাট্যে আলো আঁধারের হিসেব নিকেষ। অবশেষে কিভাবে সত্যের জিত হবে, সেই নিয়েই আবর্তিত খাঁচার কাহিনী ।
মৃন্ময়ের স্বপ্নপূরণ
মৃন্ময়ের কথায় “অনেকেরই মনে হতে পারে, পপুলার ইউটিউবার হিসেবে মেইনস্ট্রিম কমার্শিয়াল সিনেমায় কীভাবে প্রত্যাবর্তন হলো? হিরো হওয়ার ইচ্ছা আমার বহু বছরের। এক দশকের ওপরে অভিজ্ঞতা…২০১২ থেকে মিডিয়াতে কাজ শুরু করেছি, প্রথমে রিয়েলিটি শো, তারপর ইউটিউব। কিন্তু তারও আগে থেকে আমার স্বপ্ন হিরো হওয়ার। কিন্তু মেইনস্ট্রিম কমার্শিয়াল সিনেমায় হিরো হওয়া মুখের কথা নয়। তার জন্য – সঠিক প্রিপারেশন, সঠিক মানুষদের সান্নিধ্যে আসা, আর সঠিক সময়টা খুব দরকার। ইউটিউবটা আমার প্যাশন এবং প্রফেশন, কিন্তু হিরো হওয়াটা আমার অ্যাম্বিশন। এটা ২০২৫-এ ফুলফিল হতে যাচ্ছে। ডিরেক্টর অনির্বাণ চক্রবর্তী ও স্বভূমী প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ!”
আরও পড়ুন: Rubel Das: নিম ফুলের মধু-র সেটে আইবুড়ো ভাত খেলেন রুবেল, দেখুন এক্সক্লুসিভ ছবি
হার্ড ডায়েটিং ফলো
কমলেশ চরিত্রের জন্য একটা মাসকুলার ফিগারে ট্রান্সফর্মেশন দরকার ছিল। তার জন্য শুটিং-এর আগের ৬ মাস একটা হার্ড রুটিন আর হার্ড ডায়েটিং ফলো করতে হয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল। মৃন্ময় আরো বলেন “একটা ছেলের বহু বছরের হিরো হওয়ার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। এই জার্নির প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে স্পেশাল মেমোরি”।