ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: খিদিরপুরের ঐতিহ্যবাহী (Khidirpur Fire Incident) বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পেরিয়ে গেছে ৩৫ ঘণ্টারও বেশি সময়, কিন্তু এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের অভিযোগ, হাজারের বেশি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।সোমবার ভয়াবহ আগুন লাগার পর মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া নতুন করে বিনামূল্যে মার্কেট তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
বুধবার দুপুরে খিদিরপুরে শুভেন্দু (Khidirpur Fire Incident)
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা স্বস্তি দিতে পারেনি (Khidirpur Fire Incident) ব্যবসায়ীদের। তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘আগুন লাগার আগেই কীভাবে অন্য জায়গা ঠিক করা হয়ে গেল?’’ আর এই প্রশ্নেই ঘি ঢাললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার দুপুরে খিদিরপুরে এসে ক্ষতিগ্রস্ত বাজার ঘুরে দেখেন শুভেন্দু। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “এটা ম্যান-মেড আগুন। পরিকল্পনা করে আগুন লাগানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানলেন কীভাবে আগেই, কোথায় স্থানান্তর করা হবে?”
দমকলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু (Khidirpur Fire Incident)
বাজারের একাংশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু দমকলের (Khidirpur Fire Incident) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, “রাত ১টায় আগুন লাগে, আর দমকল আসে ভোর ৪টেয়! ফায়ার ব্রিগেড দাঁড়িয়ে আছে, বলছে জল নেই। এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত।” এখানেই থামেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও সরব হন তিনি। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। কাল উনি ১ হাজার পুলিশ নিয়ে এলেন, ধমক দিলেন! মানুষের আস্থা উঠে গেছে। এখানে হিন্দু-মুসলিম, বিজেপি-সিপিএম সবাই আছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী শুধু তৃণমূলের হয়ে থাকলেন।”
ব্যবসায়ীদের পাশে শুভেন্দু
ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু জানান, “আমি জমি রক্ষার আন্দোলনে ডক্টরেট। যদি কেউ উচ্ছেদের চেষ্টা করে, আমি প্রতিরোধে থাকব। এই জায়গা কেউ ছাড়বে না।” ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, তাঁদের বিনা নোটিশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। কেউ কেউ বলছেন, ২০২২ সালেই কলকাতা কর্পোরেশন জমির মালিকানা নিয়েছে, অথচ এখনও কোনও বৈধতা দেওয়া হয়নি। শুভেন্দুর অভিযোগ, “চার বছর আগে সব সেটেল হয়ে গেছে। মানে স্যুটকেসে লেনদেন হয়ে গেছে।”
আরও পড়ুন: UPI Update: হাফ মিনিটেরও কম সময়ে এবার টাকা ট্রান্সফার, আসছে নতুন নিয়ম!
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু
সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে ‘তামাশা’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বলেন, “যে দোকান পুড়েছে, সেটার ক্ষতিপূরণ ১ লাখ টাকা? অন্তত ২৫ লাখ টাকা দিন। আর মানুষের মাথায় ছুরি চালাবেন না। এরা ভিক্ষা চায় না, ন্যায্য দাবি চায়।” এই অগ্নিকাণ্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোরের পাশাপাশি বাড়ছে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তা।