ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তর কোরিয়ার সর্বময় নেতার শক্তিশালী বোন কিম ইয়ো জং (Kim Yo Jong on Dialogue with South Korea), নতুন রাষ্ট্রপতির অধীনে সিওলের আলোচনার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রচেষ্টাকে অবজ্ঞা (Kim Yo Jong on Dialogue with South Korea)
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের শক্তিশালী বোন কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দিয়েছেন (Kim Yo Jong on Dialogue with South Korea)। নতুন বামপন্থী রাষ্ট্রপতি লি জে-মিয়ং-এর অধীনে সিওল যে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই এই মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি লি-র পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের প্রচেষ্টাকে তীব্রভাবে খারিজ করে দেন। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল উত্তেজনাপূর্ণ আন্তঃকোরীয় সীমান্তে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত।
কিম ইয়ো জং, যিনি উত্তর কোরিয়ার শাসক ওয়ার্কার্স পার্টির প্রচার শাখার তদারকি করেন। তিনি বলেন এই সিদ্ধান্তটি ছিল “একটি এমন ভুল কাজকে ফিরিয়ে নেওয়া যা আদতেই করা উচিত ছিল না।” তিনি বলেন, যদি দক্ষিণ কোরিয়া ভেবে থাকে যে “কিছু আবেগঘন কথা বলেই আগের সব পরিস্থিতি ঘোচানো যাবে”, তবে সেটিই হবে সবচেয়ে বড় “ভুল গণনা”।
“সিওল বিভ্রমে ভুগছে” (Kim Yo Jong on Dialogue with South Korea)
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে দেওয়া মন্তব্যে কিম ইয়ো জং আরও বলেন (Kim Yo Jong on Dialogue with South Korea), দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রী (একীকরণ মন্ত্রী) চুং ডং-ইয়ং এই মাসের শুরুতে কিম জং উনকে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর পক্ষে কথা বলার পর, সিওল “একটি দিবাস্বপ্নে বিভোর” হয়ে পড়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দক্ষিণ কোরিয়ার আমেরিকা-নির্ভর নিরাপত্তা জোটে অন্ধ আস্থা এবং পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটার মনোভাব একেবারে আগের রক্ষণশীল রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওলের সরকারের মতই।
“কোনও আগ্রহ নেই, কোনো আলোচনার প্রয়োজন নেই”
কিম ইয়ো জং স্পষ্ট জানান, “সিওলে কী নীতি নেওয়া হল বা কী প্রস্তাব দেওয়া হল, তাতে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। আমাদের তাদের সঙ্গে দেখা করারও কোনও প্রয়োজন নেই, আলোচনারও কোনও ইস্যু নেই।” এখানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি নাম ‘রিপাবলিক অব কোরিয়া’ (ROK)-এর উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: Thailand Cambodia Border Dispute : থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধের শুরু কীভাবে?
নতুন রাষ্ট্রপতির শান্তি প্রচেষ্টা
সাময়িক সামরিক আইন ঘোষণার কারণে ইউন সুক-ইওল অপসারিত হওয়ার পর লি জে-মিয়ং গত মাসে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। তিনি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির মধ্যে রয়েছে। লি-র বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং তাদের পূর্বসূরিরা ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার পক্ষে থেকেছে। এর বিপরীতে ইউনের কনজারভেটিভ পিপল পাওয়ার পার্টি বরাবরই কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে।
ছয় উত্তর কোরিয়ানকে ফেরত পাঠাল দক্ষিণ কোরিয়া
এই মাসের শুরুতেই দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষণা করে, তারা ছয় জন উত্তর কোরিয়ান নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে। এরা আগে সমুদ্রে উদ্ধার হয়েছিলেন, যখন তাদের নৌযান দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমায় ভেসে আসে।