ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কেএল রাহুলের জয় উদযাপন প্রতিপক্ষ শিবিরেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে (KL Rahul Celebration)। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে টিম ডেভিড এবং ফাফ ডু প্লেসি ম্যাচ পরবর্তী আড্ডার সময় ডিসির ব্যাটসম্যানের অঙ্গভঙ্গি নকল করেছিলেন।
দিল্লির টানা চতুর্থ জয়, নজরে কেএল রাহুলের আবেগময় উদযাপন (KL Rahul Celebration)
দিল্লি ক্যাপিটালস তাদের জয়ের ধারা বজায় রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ছয় উইকেটের জয়ে (KL Rahul Celebration)। তবে ম্যাচের থেকেও বেশি আলোচনায় এলেন কেএল রাহুল। চিন্নাস্বামি স্টেডিয়ামে নিজের মাঠে ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করার পর, রাহুল নিজের বুক ঠুকে এবং ব্যাট দিয়ে মাঠে আঘাত করে উদযাপন করেন। তাঁর চোখে-মুখে ছিল আগুন, যেন বলছেন — ‘এই মাঠ আমার’।
রাহুলের আগুনঝরা ইনিংস ও ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলানো (KL Rahul Celebration)
দিল্লি ইনিংসের শুরুটা ছিল খুবই খারাপ। মাত্র ৫৮ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল (KL Rahul Celebration)। তখনই দৃঢ় হয়ে দাঁড়ান রাহুল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস, যিনি অপরাজিত ৩৮ রান করেন। দু’জনে মিলে ১১১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন বেঙ্গালুরুর হাত থেকে।
রাহুলের (KL Rahul Celebration) ব্যাট থেকে আসে সাতটি চার ও ছয়টি ছক্কা। ইনিংসের শুরুতেই ব্যক্তিগত মাত্র পাঁচ রানে, রাজত পাটিদার তাঁর একটি সহজ ক্যাচ মিস করেন। এরপর আর রাহুলকে থামানো যায়নি। তিনি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন, শান্তভাবে খেলেন সুয়াশ শর্মার বিরুদ্ধে। তারপর জশ হ্যাজেলউডের এক ওভারে মারেন একটি বিশাল ছক্কা সহ ২২ রান, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
স্টাবসও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ভুবনেশ্বর কুমারের ওভারে সহজেই বাউন্ডারি বের করেন। দিল্লি ১৭.৫ ওভারে ১৬৯ রান তুলে ম্যাচ শেষ করে।
আরও পড়ুন: Dhoni CSK Skipper: ধোনির চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন! ফের চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মাহি
উদযাপন নিয়ে মাঠের বাইরে আলোচনা
ম্যাচের পর কেএল রাহুলের উদযাপন নিয়ে মাঠের বাইরেও চলে আলোচনা। অস্ট্রেলিয়ার এবং আরসিবির ব্যাটার টিম ডেভিডকে দেখা যায় দিল্লির ফাফ ডু প্লেসির সঙ্গে রাহুলের ওই উদযাপন নিয়ে মজার ছলে আলোচনা করতে। রাহুলের সেই মুহূর্ত যে শুধু মাঠেই নয়, ড্রেসিংরুমেও প্রভাব ফেলেছে, তা বোঝা গিয়েছে।
চিন্নাস্বামিতে রাহুলের আবেগের উৎস
কেএল রাহুল এর আগে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে আরসিবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু দু’বারই তাঁকে ছেড়ে দেয় দল। পরে পাঞ্জাব কিংস এবং তারপর তিন বছর লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে অধিনায়কত্ব করেন। ২০২৪ সালে লখনউর হয়ে রাহুলের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। প্লে-অফে উঠতে পারেনি দল। সেই সময়ে দলমালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্যে বাদানুবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে।
এই পটভূমিতে চিন্নাস্বামিতে রাহুলের এমন উদযাপন অনেক বছরের জমে থাকা অভিমানেরই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছে ক্রিকেটবিশ্ব।
আরসিবির ঘরের মাঠে দ্বিতীয় হার
এই হারে চলতি মরসুমে নিজেদের ঘরের মাঠে দ্বিতীয়বার হারল আরসিবি। যদিও বাইরের মাঠে তারা এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাচেই জিতেছে। তবে নিজেদের মাঠে এমন একটা হার রাহুলের ‘ঘরের ছেলে হয়ে ফিরে আসার’ গল্পকেই আরও জমিয়ে দিল।