ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মঙ্গলবার একটি অনলাইন ব্লিটজ খেলায় আরিত কপিল (Aarit Kapil) ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারানোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।
অনলাইনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে দারুণ ড্র করে শোরগোল ফেলল দিল্লির খুদে দাবাড়ু (Aarit Kapil)
দিল্লির নয় বছরের এক ছেলেই এখন ভারতের নতুন দাবার বিস্ময় (Aarit Kapil)। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধে অনলাইনে তীব্র লড়াই করে ড্র করল আরিত কপিল। ‘আর্লি টাইটেলড টিউজডে’ প্রতিযোগিতায় ৪৯ চালে ম্যাচ ড্র করে সে এখন দাবা মহলের নতুন আলোচনার কেন্দ্র। এই অনলাইন ব্লিটজ টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ শুধুমাত্র ফিদে রেটিংপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের জন্য। প্রতিযোগিতায় হিকারু নাকামুরা, ফাবিয়ানো কারুয়ানা এবং ভ্লাদিমির ক্রামনিকের মতো বিশ্বখ্যাত দাবাড়ুরাও অংশ নেন। ময়ূর বিহারের বাসিন্দা আরিত বর্তমানে জর্জিয়ায় আন্ডার-১০ বিভাগে অনুষ্ঠিত ফিদে ওয়ার্ল্ড ক্যাডেটস কাপে অংশ নিচ্ছে। সেখানকার হোটেল ঘর থেকেই এই অনলাইন ম্যাচ খেলেছে সে।
শেষ মুহূর্তে সময় ফুরিয়ে এলেও ম্যাচ ড্র (Aarit Kapil)
‘টাইটেলড টিউজডে’ টুর্নামেন্টে প্রতিটি খেলোয়াড় শুরুতে তিন মিনিট সময় পান এবং প্রতি চালের জন্য এক সেকেন্ড করে অতিরিক্ত সময় যোগ হয় (Aarit Kapil)। ৪৬তম চাল পর্যন্ত আরিত এগিয়ে ছিল। কিন্তু তখন ওর ঘড়িতে মাত্র সাত সেকেন্ড বাকি ছিল। কার্লসেনেরও মাত্র ২০ সেকেন্ড ছিল হাতে। শেষমেশ দু’পক্ষই ড্র মেনে নেয়।
কীভাবে দাবা শেখা শুরু
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বড় বোন আরনা ওকে দাবা শেখায়। আর এক সপ্তাহের মধ্যেই সে পরিবারের সবার সঙ্গে জিতে যেতে শুরু করে। আরিতের বাবা বিজয় কাপিল ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-কে বলেন, “ওর বয়স যখন পাঁচ, তখন ওর দিদি ওকে দাবা শেখায়। এক সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের হারাতে শুরু করে। আমি খুব ভালো খেলোয়াড় নই, মানে গান গাওয়ার দিক থেকে যদি বলি, আমি বাথরুম সিঙ্গার, মানে খেলাটা শখের জায়গায় ছিল। কিন্তু আমরা ওর প্রতিভা বুঝে গেলাম। কোচের কাছে নিয়ে যাই। কয়েক দিনের মধ্যেই ও একটা আন্তর্জাতিক অনলাইন টুর্নামেন্ট জিতে নেয়।”
আরও পড়ুন: Shamar Joseph: হিলির কটাক্ষের জবাব বল হাতেই দিলেন শামার জোসেফ
কার্লসেনের বিরুদ্ধে লড়াই ছাড়াও আছে আরও নজরকাড়া কীর্তি
ম্যাগনাস কার্লসেনকে আটকানো আরিতের প্রথম বড় সাফল্য নয়। ২০২৪ সালে সে আমেরিকার গ্র্যান্ডমাস্টার রাসেত জিয়াতদিনভকে হারিয়ে বিশ্বের তৃতীয় কনিষ্ঠ দাবাড়ু হয়ে ওঠে যিনি কোনো গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারাতে পেরেছে। বাবা বিজয় বলেন, “কখনও ওর টুর্নামেন্ট ভালো না গেলে আমরা মজা করে বলি, ‘তোর দাবা বন্ধ করে দেব’। তখন ও বলে, ‘যা খুশি করো, আমি দাবা খেলাই ছাড়ব না।’” এই খুদে প্রতিভাবান দাবাড়ুর জেদ, আত্মবিশ্বাস আর প্রতিভা তাক লাগিয়ে দিয়েছে গোটা দাবা দুনিয়াকে। এখনই বলা যায়, ভারতের দাবা ভবিষ্যতের এক উজ্জ্বল নাম হতে চলেছে আরিত কপিল।