ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ ভুত চতুর্দশী, রাত পোহালেই মা কালীর আরাধনায় মাতবে বঙ্গবাসী। আরামবাগের খানাকুলের ঘন্টেশ্বর বাবার মন্দির সংলগ্ন রত্নাবলী কালী মন্দিরেও চলছে মায়ের আরাধনার প্রস্তুতি। চলুন ঘুরে আসা যাক রত্নাবলী কালী মন্দির থেকে, জেনে নেওয়া যাক এই মায়ের ইতিহাস।
৫১ সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম আরামবাগের খানাকুলের রত্নাবলী কালীমন্দির। শোনা যায়,এখানে মায়ের দক্ষিণ স্কন্ধ বা ডান কাঁধ পড়েছিল। পাশেই রয়েছে বাবা ঘণ্টেশ্বরের মন্দির। কিন্তু কেন এখানে মায়ের নাম রত্নাবলী হল? কথিত আছে, বহু বছর আগে খানাকুলের এই এলাকা দিয়ে বয়ে যেত দ্বারকেশ্বর নদীর একটি শাখা রত্নাকর নদী, আর এই এলাকা ছিল প্রচুর মন্দিরে পরিপূর্ণ। এখানকার সাধক পুরুষ অভিরাম গোস্বামী একদিন এই এলাকা দিয়ে আসার সময় দেখেন এই রত্নাকর নদীতে মন্দির গুলি সব প্রায় বিলিন হতে বসেছে। তখন তিনি রাগে, ক্রোধে নদীকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, এর পর থেকে এই নদী আর থাকবে না। কেউই একে দেখতেও পাবে না, মজে যাবে। আর এই নদীর জল অন্তঃশিলা হয়ে মাটির নিচে দিয়ে প্রবাহিত হবে। তখন থেকেই এই নদীর জল মাটির নিচে দিয়েই অন্তঃশিলা হয়ে বয়ে যায়।
এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের মুখে শোনা যায় আরও এক কাহিনী, “অনেককাল আগে খানাকুলের পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা বটুক কারকের একটি গরু এই অঞ্চলে একটি শিমূল গাছের পাশে এসে দুধ দিত। কিন্তু কোনওভাবেই বাড়িতে দুধ দিত। কিন্তু কোনওভাবেই বাড়িতে দুধ দিত না গরুটি। রোজ রোজ এই ঘটনা ঘটতে দেখে মনে প্রশ্ন জাগে বটুকবাবুর। একদিন তিনি শিমূল গাছের পাশে ওই নির্দিষ্ট জায়গাটি চিহ্নিত করে সেখানে খনন কার্য শুরু করেন। কিছুটা খোঁড়ার পরেই দেখা মেলে ভগবান শিবের, বা বলা ভাল বাবা ঘণ্টেশ্বররের। এরপর ওই এলাকায় আসেন বর্ধমানের জমিদার বংশের সন্তান স্বরূপ নারায়ণ ব্রহ্মচারী। তিনি ধ্যানে বসে জানতে পারেন ওই অঞ্চলের পাশেই পড়েছে সতীর দক্ষিণ স্কন্ধ বা ডান কাঁধ।
একদিন গভীর রাতে শিমূল গাছের পাশে যেখান থেকে বাবাকে পাওয়া গিয়েছিল সেই একই জায়গা থেকে একটি স্ফুলিঙ্গকে সংলগ্ন একটি জায়গায় পড়তে দেখেন স্বরূপ নারায়ণ। এরপর সেই স্থানে গিয়ে একটি প্রস্তর খণ্ড পান স্বরূপ নারায়ণ ব্রহ্মচারী। সেখানেই ধ্যানে বসেন তিনি। এরপর মায়ের আদেশে তিনি মূর্তি গড়ে সাধনা শুরু করেন। এমনকি মায়ের আদেশেই শবদেবের ওপর আসন বানিয়ে ধ্যানে বসেন স্বরূপ নায়ারণ এবং সেখানেই দেহ রাখেন। তবে সেই প্রস্তর খণ্ডটি তিনি কোথায় রেখে গিয়েছেন তা আজও জানা যায়নি। স্বরূপ নারায়ণের নির্দেশ মতো আজও মায়ের পুজোয় প্রথম সংকল্প হয় তাঁর নামেই।
আগে মায়ের পুজো হত তালপাতার ছাউনি দেওয়া কুঁড়ে ঘরে।পরবর্তীতে কালক্রমে ভক্তদের সহযোগিতায় মায়ের মন্দির নির্মাণ করা হয়।আর সেই থেকেই মায়ের নিত্য পুজোর পাশাপাশি
হয়ে আসছে রটন্তি কালি মায়ের পুজো, একই সঙ্গে কার্তিক মাসেও মায়ের পুজো করা হয়। এদিকে ভিন জেলা ও শহর থেকে মায়ের কাছে ছুটে আসেন ভক্তরা। এই পীঠ নিয়ে মতভেদ থাকলেও স্থানীয় মানুষ এবং বহিরাগত দর্শনার্থীরা অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই মায়ের পুজো দিয়ে থাকেন। এই রত্নাবলী মায়ের প্রতি অশেষ ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং আস্থা রাখেন সকলেই। দূর দূরান্ত থেকে অগণিত ভক্ত আসেন, পুজো দেন, মনস্কামনা পূরণ করে তারা বাড়ি ফেরেন।ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ ভুত চতুর্দশী, রাত পোহালেই মা কালীর আরাধনায় মাতবে বঙ্গবাসী। আরামবাগের খানাকুলের ঘন্টেশ্বর বাবার মন্দির সংলগ্ন রত্নাবলী কালী মন্দিরেও চলছে মায়ের আরাধনার প্রস্তুতি। চলুন ঘুরে আসা যাক রত্নাবলী কালী মন্দির থেকে, জেনে নেওয়া যাক এই মায়ের ইতিহাস।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/sale-of-environmentally-friendly-firecrackers-is-going-on-kolkata-market/
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/man-allegedly-accused-for-selling-newborn/
৫১ সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম আরামবাগের খানাকুলের রত্নাবলী কালীমন্দির। শোনা যায়,এখানে মায়ের দক্ষিণ স্কন্ধ বা ডান কাঁধ পড়েছিল। পাশেই রয়েছে বাবা ঘণ্টেশ্বরের মন্দির। কিন্তু কেন এখানে মায়ের নাম রত্নাবলী হল? কথিত আছে, বহু বছর আগে খানাকুলের এই এলাকা দিয়ে বয়ে যেত দ্বারকেশ্বর নদীর একটি শাখা রত্নাকর নদী, আর এই এলাকা ছিল প্রচুর মন্দিরে পরিপূর্ণ। এখানকার সাধক পুরুষ অভিরাম গোস্বামী একদিন এই এলাকা দিয়ে আসার সময় দেখেন এই রত্নাকর নদীতে মন্দির গুলি সব প্রায় বিলিন হতে বসেছে। তখন তিনি রাগে, ক্রোধে নদীকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, এর পর থেকে এই নদী আর থাকবে না। কেউই একে দেখতেও পাবে না, মজে যাবে। আর এই নদীর জল অন্তঃশিলা হয়ে মাটির নিচে দিয়ে প্রবাহিত হবে। তখন থেকেই এই নদীর জল মাটির নিচে দিয়েই অন্তঃশিলা হয়ে বয়ে যায়।
এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের মুখে শোনা যায় আরও এক কাহিনী, “অনেককাল আগে খানাকুলের পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা বটুক কারকের একটি গরু এই অঞ্চলে একটি শিমূল গাছের পাশে এসে দুধ দিত। কিন্তু কোনওভাবেই বাড়িতে দুধ দিত। কিন্তু কোনওভাবেই বাড়িতে দুধ দিত না গরুটি। রোজ রোজ এই ঘটনা ঘটতে দেখে মনে প্রশ্ন জাগে বটুকবাবুর। একদিন তিনি শিমূল গাছের পাশে ওই নির্দিষ্ট জায়গাটি চিহ্নিত করে সেখানে খনন কার্য শুরু করেন। কিছুটা খোঁড়ার পরেই দেখা মেলে ভগবান শিবের, বা বলা ভাল বাবা ঘণ্টেশ্বররের। এরপর ওই এলাকায় আসেন বর্ধমানের জমিদার বংশের সন্তান স্বরূপ নারায়ণ ব্রহ্মচারী। তিনি ধ্যানে বসে জানতে পারেন ওই অঞ্চলের পাশেই পড়েছে সতীর দক্ষিণ স্কন্ধ বা ডান কাঁধ।
একদিন গভীর রাতে শিমূল গাছের পাশে যেখান থেকে বাবাকে পাওয়া গিয়েছিল সেই একই জায়গা থেকে একটি স্ফুলিঙ্গকে সংলগ্ন একটি জায়গায় পড়তে দেখেন স্বরূপ নারায়ণ। এরপর সেই স্থানে গিয়ে একটি প্রস্তর খণ্ড পান স্বরূপ নারায়ণ ব্রহ্মচারী। সেখানেই ধ্যানে বসেন তিনি। এরপর মায়ের আদেশে তিনি মূর্তি গড়ে সাধনা শুরু করেন। এমনকি মায়ের আদেশেই শবদেবের ওপর আসন বানিয়ে ধ্যানে বসেন স্বরূপ নায়ারণ এবং সেখানেই দেহ রাখেন। তবে সেই প্রস্তর খণ্ডটি তিনি কোথায় রেখে গিয়েছেন তা আজও জানা যায়নি। স্বরূপ নারায়ণের নির্দেশ মতো আজও মায়ের পুজোয় প্রথম সংকল্প হয় তাঁর নামেই।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/bandar-kalibari-puja-is-held-according-to-tradition-kalipuja-2024/
আগে মায়ের পুজো হত তালপাতার ছাউনি দেওয়া কুঁড়ে ঘরে।পরবর্তীতে কালক্রমে ভক্তদের সহযোগিতায় মায়ের মন্দির নির্মাণ করা হয়।আর সেই থেকেই মায়ের নিত্য পুজোর পাশাপাশি হয়ে আসছে রটন্তি কালি মায়ের পুজো, একই সঙ্গে কার্তিক মাসেও মায়ের পুজো করা হয়। এদিকে ভিন জেলা ও শহর থেকে মায়ের কাছে ছুটে আসেন ভক্তরা। এই পীঠ নিয়ে মতভেদ থাকলেও স্থানীয় মানুষ এবং বহিরাগত দর্শনার্থীরা অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই মায়ের পুজো দিয়ে থাকেন। এই রত্নাবলী মায়ের প্রতি অশেষ ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং আস্থা রাখেন সকলেই। দূর দূরান্ত থেকে অগণিত ভক্ত আসেন, পুজো দেন, মনস্কামনা পূরণ করে তারা বাড়ি ফেরেন।