ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কথায় আছে ভগবানের ভোগ দেখলে কাটে দুর্ভোগ। জনশ্রুতি রয়েছে শান্তিপুরের চাঁদনী বাড়ি যে ভোগ নিবেদন করা হয় মাকে সেই ভোগ দেখলেও সব দুর্ভোগ কেটে যায়। সমস্ত রকমের ফল থেকে শুরু করে কাঁচা ভোগ, ক্ষীরের মিষ্টি, রকমারি সন্দেশ ইত্যাদি অর্পণ করা হয় মায়ের সামনে। ছাগ বলি ইত্যাদি একাধিক ভোগের সম্ভার দেওয়া হয় চাঁদনী মায়ের পুজোতে। দেওয়া হয় ১০ কিলো চালের নৈবেদ্য। ছাগ বলি এখনও প্রচলন রয়েছে চাঁদুনি মায়ের পুজোয়। নিয়ম অনুযায়ী ২২ টা পাঁঠা বলি দেওয়া হয় এই পুজোয়।
পুজোর মত অনুসারে চাঁদুনি মা হলেন মাংসাশী। তন্ত্র মতে মায়ের পুজো হয়ে থাকে। বট পাতার পুঁথিতে লেখা রয়েছে পুজোর নিয়মবিধি ও মন্ত্র। বৃহস্পতিবার নিশি রাতে পুজো শুরু হওয়ার পর ভোর আনুমানিক সাড়ে চারটে নাগাদ ধুনো পুড়িয়ে পুজো সম্পন্ন হয়। সেই পুজো বিশেষ নিয়ম বিধি মেনে করা হয়, পুজোয় মাকে নিবেদন করা হয় মাংস এবং মদ।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/official-inauguration-of-9-projects-at-raj-bhavan/
পুজোর দিন রাতে ২২ টা পাঠাবলির পর পরের দিন নিরামিষ ভাবে সেই বলির মাংস রান্না করা হয়। সেই প্রাচীনকাল থেকেই চাঁদুনী মায়ের ছাগ বলি হয়ে যাওয়ার পর সেই বলির গর্দানের কিছু মাংস ঔষধ হিসেবে খেয়ে থাকেন অনেক ভক্তরা। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে সেই বলির গর্দানের মাংস সংলগ্ন রক্ত কিছুটা কাঁচা সেবন করলে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হাঁপানি ইত্যাদি নির্মূল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/allegation-of-molestation-of-11th-class-girl-was-made-against-the-teacher/
তারপর বলির বাকি মাংস পরদিন নিরামিষ পদ্ধতিতে রান্না করা হয়। নিরামিষ মাংস রান্না ছাড়াও অন্যান্য ভোগ নিবেদন করা হয় মাকে যেই ভোগ বন্ধনের দায়িত্বে থাকেন সমস্তটাই বাড়ির বউরা। এই সমস্ত ভোগ পুজোর পরের দিন ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হয়। ভোগ বিতরণের পরেই বাড়ির বউয়েরা মিলে মাকে সিঁদুর ডালা নিয়ে করেন বরণ। বরণ সম্পন্ন হওয়ার পরে মা পুনরায় চতুর্দলায় চেপে চলে যান নিরঞ্জনের পথে।