ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চিকিৎসকেরা বলেন, মাইগ্রেনের (Migraine Problem) ব্যথা শুরু হলে খুব বেশি ঠান্ডা বা গরম খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। মাইগ্রেনের ব্যথা সহজে কমতে চায় না। নানা ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ খেয়েও বিশেষ লাভ হয় না। সেই সময় অনেকেই চা, কফি খান। তাতে কেউ সুফল পান, কেউ পান না। কারও মাইগ্রেন থেকে থাকে, তা হলে রোজ কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেতে পারেন। তাতে পেতে পারেন স্বস্তি। জেনে নিন মাইগ্রেনের ব্যথা থাকলে কোন কোন খাবার খাওয়া উপকারী।
মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে কেন? (Migraine Problem)
অপর্যাপ্ত জল পানের কারণে সৃষ্ট ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা এবং দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে রক্তে শর্করা কমে যাওয়া মাইগ্রেনের ব্যথাকে (Migraine Problem) আমন্ত্রণ জানায়। এ ছাড়া নিয়াসিন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব ঘটলে এবং রক্তস্বল্পতার কারণেও মাথাব্যথা বাড়ে। মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকের কোনো কোনো দিনকে অসহ্য করে তোলে। মাথার কোনো এক পাশে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি ভাব বা বমি, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি সমস্যা এ সময় মানুষকে প্রায় শয্যাশায়ী করে ফেলে। মাইগ্রেনের ব্যথার আকস্মিক আক্রমণের জন্য কিছু বিষয় কাজ করে।
কী জাতীয় খাবার খাবেন? (Migraine Problem)
ব্যথার তীব্রতা কমাতে ট্রিপটোফেন-জাতীয় খাবার বেশ সুফল বয়ে আনে (Migraine Problem)। লাল চাল, খেজুর, কিশমিশ, দুধ, দই, ডিম, শিম, বাদাম, ডুমুর, সবুজ ও কমলা রঙের সবজি, কলাসহ নানা ধরনের ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত তাঁদের। ভেষজ চা, বিশেষ করে আদা-চা ও পুদিনা-চা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: Flour Benefits: কোন ধরণের আটা খেলে পাবেন বেশি উপকার? কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?
বাদাম
শরীরে জলের ঘাটতির পাশাপাশি, ম্যাগনেশিয়ামের অভাব থাকলেও মাইগ্রেন শুরু হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে দূরে থাকতে তাই রোজ খালি পেটে খেতে পারেন নানা রকমের বাদাম। ফ্ল্যাক্সসিডস, চিয়া সিডস, কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।
ভেষজ চা
শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভেষজ চায়েরও অনেক গুণ। ইন্টারন্যাশন্যাল জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে উল্লিখিত, পিপারমিন্ট-টি খাওয়া সাইনাসের জন্য উপকারী। এতে মাইগ্রেনও কমে।
আরও পড়ুন: Growth Pain: রোজ রাতে পায়ে ব্যথা, গ্রোথ পেনের থেকে বাঁচবেন কীভাবে?
তরমুজ
শরীরে জলের ঘাটতি আটকাতে পারলেই মাইগ্রেনের সমস্যা খানিকটা রুখে দেওয়া যায়। তাই জল খাওয়ার পাশাপাশি, জল সমৃদ্ধ ফলও খেতে হবে। তরমুজে জলের পরিমাণ ৯২ শতাংশ। এই ফল শরীরে জলের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
কী খাবেন না?
কিছু খাবার মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য পরিত্যাজ্য। যেমন: চকলেট, পাউরুটি, কেক পেস্ট্রি, রং দেওয়া খাবার, সংরক্ষিত খাবার, আচার বা সস ও ময়দা-চিনির খাবার। মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা টেস্টিং সল্ট ব্যথা বাড়ায়।