ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রেস্তোরাঁর মুখরোচক (Kochu Lati Ghanta) কচুপাতা ও সর্ষে বাটা দিয়ে ভাপানো কুচো চিংড়ির কথা শুনলেই অনেকের মুখে জল চলে আসে। তবে বাড়িতে কচুপাতা বা কচুর ডাঁটা দিয়ে তরকারি রান্নার কথা ভাবলেই অনেকেই পিছিয়ে যান কারণ মনে হয় এতে প্রচুর পরিশ্রম লাগবে। এই ভাবনার কারণে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই রান্না অনেকেই এখন পরিত্যাগ করে দিয়েছেন।
রান্না অতটা কঠিন নয় (Kochu Lati Ghanta)
তবে সত্যি কথা বলতে কি, এই ধরনের রান্না অতটা (Kochu Lati Ghanta) কঠিন নয়, বরং মশলার ভারি ব্যবহার না করে সামান্য ফোড়ন আর সময় নিয়ে ভাজা হলে তৈরি হয় অত্যন্ত সুস্বাদু এবং ঘরোয়া স্বাদের তরকারি। বাঙালির ঘরেই রান্নার এই বিশেষ প্রণালী ‘ঘণ্ট’ নামে পরিচিত। এতে ঝাল-মিষ্টি স্বাদের নিখুঁত সমন্বয় থাকে। রান্নাটির মূল বৈশিষ্ট্য হল এতে বেশি মশলা ব্যবহার হয় না, বরং সর্ষার তেল আর ফোড়নের গন্ধ পুরো খাবারটাকে আলাদা রূপ দেয়।
কীভাবে বানাবেন? (Kochu Lati Ghanta)
উপকরণ:
- ৫০০ গ্রাম কচুর ডাঁটা বা কচুর লতি, ছোট ছোট টুকরো করে কাটা (Kochu Lati Ghanta)
- ২-৩ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
- ১ টেবিল চামচ কালোজিরে
- ৩-৪টি শুকনো লঙ্কা (ফোড়নের জন্য)
- ১২-১৪ কোয়া রসুন, থেঁতো করে নেওয়া
- ৭-৮টি কাঁচালঙ্কা
- ১ কাপ ছোলা, সারা রাত ভেজানো
- ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১/২ কাপ নারকেল কোরানো
- স্বাদমতো নুন ও চিনি
আরও পড়ুন: Weather Report: বর্ষার আগাম আগমন, বাংলার অধিকাংশ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা!
রান্নার প্রণালী
প্রথমে কচুর ডাঁটা ছোট ছোট টুকরো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এরপর একটি বড় পাত্রে জল গরম করুন, তাতে নুন মিশিয়ে কচুর লতি দিয়ে ঢেকে অন্তত ১০ মিনিট সেদ্ধ হতে দিন। সেদ্ধ হওয়ার সময় কচুর ডাঁটা কমে প্রায় অর্ধেক হবে। এরপর এতে ৫-৬টি কাঁচালঙ্কা সামান্য চিরে দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন। শেষে জল ঝরিয়ে নিন।
এবার কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে ফেলুন। তেলের মধ্যে শুকনো লঙ্কা ও কালোজিরে ফোড়ন দিন। ফোড়ন উঠলে রসুন থেঁতো দিয়ে হালকা ভাজুন। রসুন বাদামী হতে শুরু করলে বাকি কাঁচালঙ্কা বাটা, সেদ্ধ কচুর ডাঁটা, ভিজিয়ে রাখা ছোলা, হলুদ গুঁড়ো, নুন ও চিনি দিয়ে মিশ্রণটি ভালো করে নাড়ুন।

তেল থেকে মসলাগুলো ছেড়ে যেতে শুরু করলে কচুর লতি নাড়তে থাকুন। এতে কচুর লতি নরম ও মসৃণ হয়ে আসবে। মিষ্টি-ঝাল স্বাদ ঠিকমতো আছে কি না তা দেখে নিন।
যখন কড়াই থেকে তেল আলাদা হয়ে উঠবে এবং কচুর লতি ভালো করে ভাজা হয়ে যাবে, তখন আঁচ বন্ধ করুন। রান্নার ওপর কোরানো নারকেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।