ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অবশেষে সুখবর (Kolkata Metro Rail) কলকাতাবাসীর জন্য। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শীঘ্রই চালু হতে চলেছে। রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশনের ছাড়পত্র পাওয়ার পর এবার শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা। রবিবার এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
পরিষেবা চালু (Kolkata Metro Rail)
দিনটি ছিল অত্যন্ত (Kolkata Metro Rail) তাৎপর্যপূর্ণ। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) সুমিত সিঙ্ঘল গ্রিন লাইনের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিদর্শনে আসেন। সুড়ঙ্গ, ট্র্যাক, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বাতাস চলাচল, আপৎকালীন প্রস্তুতি— প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে খতিয়ে দেখেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের (কেএমআরসিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুজ মিত্তল এবং অন্য ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। সবদিক খতিয়ে দেখে খুশি হন সিআরএস এবং ছাড়পত্র দেন পরিষেবা চালুর জন্য।
শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড অংশ (Kolkata Metro Rail)
এই রুটের কাজ দীর্ঘদিন ধরে থমকে (Kolkata Metro Rail) ছিল। হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ১৬.৫৫ কিলোমিটারের গ্রিন লাইনের মধ্যে শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড অংশই ছিল শেষ অসমাপ্ত টুকরো। এই টানেল তৈরি ছিল একাধারে প্রকৌশল ও নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ। পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের কাজ আগেই সম্পূর্ণ হয়েছিল, যার মাধ্যমে খালি রেক চলাচল করত। কিন্তু পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময় ২০১৯ সালের আগস্টে বৌবাজার এলাকায় ধস নামে। সেখানেই শুরু হয় সমস্যা।
কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ
সেই ধসের পরে একাধিকবার কাজ থমকে যায়। ২০২২ সালের মে এবং অক্টোবর মাসেও ফের জল ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে, ফলে বেশ কয়েক দফা বন্ধ রাখতে হয় খননের কাজ। সব বাধা অতিক্রম করে অবশেষে ২০২4 সালের জানুয়ারি মাসে এই অংশে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়। ট্রায়াল সফল হওয়ায় আশার আলো দেখতে শুরু করেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: Youtube Channel Banned: পাক ইউটিউব চ্যানেলের উপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা!
এই নতুন সংযোগ চালু হলে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যাত্রা হবে একেবারে নির্বিঘ্ন ও সরাসরি। বর্তমানে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পরিষেবা থাকলেও, মাঝের এই ২.৩ কিমির পথ সংযোগ না থাকায় যাত্রীদের ট্রেন বদল করে যাতায়াত করতে হত। এবার সেই সমস্যার অবসান ঘটতে চলেছে।
নতুন যুগের সূচনা
মেট্রো রেলের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই পরিষেবা চালুর দিন ঘোষণা করা হবে। এই নতুন সংযোগে যাত্রা শুরুর পর কলকাতার গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা হবে বলেই মনে করছেন পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা।
