Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিল্লি হোক বা কলকাতা (Kolkata Metro Rail), মেট্রো রেল আজ দুই শহরের মানুষদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিদিন প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ এই রেল পরিষেবার উপর নির্ভর করে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছন। সময়মতো পৌঁছনোর একমাত্র ভরসা মেট্রোই, বিশেষ করে ট্রাফিক ঠাসা শহরের প্রেক্ষাপটে। কিন্তু এই বিরাট যাত্রীসংখ্যার চাপ সামলাতে ও যাত্রা আরও সুশৃঙ্খল রাখতে, মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম তৈরি করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল, ট্রেনের গেট বন্ধ হওয়ার সময় তা আটকে দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা।
আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ (Kolkata Metro Rail)
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ট্রেনের দরজা বন্ধ হতে না হতেই (Kolkata Metro Rail) তাড়াহুড়োর মধ্যে কেউ ব্যাগ, হাত বা কখনও পা দিয়ে দরজা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের ধারণা, এতে দরজা আবার খুলে যাবে এবং তাঁরা ঢুকতে পারবেন। অথচ এই কাজটি শুধু বিপজ্জনক নয়, বরং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
গুরুতর নিয়মভঙ্গ (Kolkata Metro Rail)
এই ধরনের আচরণ ‘ডিএমআরসি আইন’-এর আওতায় একটি গুরুতর (Kolkata Metro Rail) নিয়মভঙ্গ হিসেবে গণ্য হয়। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রেনের দরজা বন্ধ হতে বাধা দিলে তাঁকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। অনেক সময় স্টেশনেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এমনকি ট্রেন থেকেও নামিয়ে দেওয়া হতে পারে।
পরিষেবা ব্যাহত
এই কাজ শুধুমাত্র যাত্রীর নিজের জন্য বিপজ্জনক তা নয়, এটি পুরো মেট্রোর চলাচল ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। মেট্রোর দরজা স্বয়ংক্রিয় এবং সেন্সর-চালিত। কেউ যদি দরজা বন্ধ হওয়ার সময় কোনও বাধা দেন, তাহলে পুরো সেন্সর সিস্টেম বিঘ্নিত হতে পারে। এর ফলে ট্রেন থেমে যেতে পারে, সময়সূচি বদলে যেতে পারে এবং পরবর্তী স্টেশনগুলিতে পরিষেবা ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: Home Loan: হোম লোনের পরিকল্পনা! আগে জানুন এই ৭টি বিষয়
হাজার হাজার যাত্রী অসুবিধার সম্মুখীন
এছাড়া, ট্রেনের দরজা বারবার আটকে দিলে সেটির যান্ত্রিক ক্ষতিও হতে পারে। ফলে শুধুমাত্র একজন যাত্রীর এই অসচেতন পদক্ষেপের কারণে হাজার হাজার যাত্রী অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। এমনকি কেউ কেউ ভাবেন, সামান্য দেরি হলে এইভাবেই ট্রেনে ওঠা যায়। কিন্তু বাস্তবে, কয়েক মিনিট পরেই পরবর্তী ট্রেন চলে আসে। তাই কোনও অবস্থাতেই দরজা আটকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে আপনি শুধু আর্থিক জরিমানাই গুনবেন না, বরং নিজের এবং অন্য যাত্রীর জীবনকেও ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারেন।