অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: অপেক্ষার আবার একবছর। দশমী শেষে উৎসবের শেষলগ্নে বিষাদের সুর। এবার কৈলাসে ফিরে যাওয়ার পালা উমার। রবিবার দুপুরের পর থেকেই বেশিরভাগ বারোয়ারি দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত ৬৯টি ঘাট। নিরঞ্জন চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। এ দিন মূলত কিছু বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত শহরের ২৫০টি দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত নিরঞ্জনের বন্দোবস্ত থাকছে।
শহরের বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জন-পর্ব। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার কড়া নজরদারি চোখে পড়েছে। জলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঠামো এবং পুজোর উপকরণ সরিয়ে ফেলার কাজ চলেছে নিরন্তর। যদিও পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল থেকে শহরের বেশির ভাগ বারোয়ারি দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন হয়ে যেতে পারে।
এ দিন মূলত কিছু বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত শহরের ২৫০টি দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত গঙ্গার ঘাট এবং জলাশয়গুলিতে নিরঞ্জনের বন্দোবস্ত থাকছে। আগামী মঙ্গলবার রেড রোডে রয়েছে পুজোর কার্নিভাল। কার্নিভালে যোগ দিতে যাওয়া প্রতিমাগুলি ওই দিনই বিসর্জন দেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/row-over-fighting-in-sskm-hospital-on-sunday/
লালবাজার সূত্রের খবর , এ বার প্রতিমা বিসর্জনের জন্য শহরের ৬৯টি ঘাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে গঙ্গার ঘাটের সংখ্যা ২৪টি। বাকিগুলি পুকুর বা জলাশয়। এই ২৯টি ঘাটে থাকছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে থাকবে নৌকা। যাতে নদীবক্ষে বা জলাশয়ে প্রয়োজন মতো দ্রুত নজরদারি চালানো যায়। এ ছাড়া, বাজেকদমতলা ঘাট এবং রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের জেটিতে মোতায়েন থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী দল। প্রতিটি দলে ছ’জন করে সদস্য থাকছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
বাজেকদমতলা ঘাট এবং রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের জেটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিও রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ১৪টি ঘাটে দু’জন করে মহিলা পুলিশকর্মী থাকছেন। সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ সাতটি ঘাটে ওয়াচ টাওয়ার মাধ্যমে চলবে নজরদারি। মজুত রাখা হচ্ছে চারটি কুইক রেসপন্স টিম। স্পিড বোট এবং জেট স্কি-র মাধ্যমেও টহল চলবে। সব মিলিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব একেবারে নির্বিঘ্নে মেটাতে সদা তৎপর কলকাতা পুলিশ-প্রশাসন।