ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar Incident) ঘর থেকে উদ্ধার হল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। অতুল সুভাষ, মানবের ঘটনার ছায়া এবার কৃষ্ণনগরে। মৃতের পরিবারের দাবি, স্ত্রীর অত্যাচারের জেরেই নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাতারপাড়া এলাকায়।
উদ্ধার হয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ (Krishnanagar Incident)
মৃত যুবকের নাম রাজকুমার সাধুকা। কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar Incident) হাতারপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। কৃষ্ণনগরের হাতারপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে উদ্ধার রাজকুমার নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ। মুদির দোকান ছাড়াও পানীয় জলের ব্যবসাও ছিল। ২০ বছর আগে জিনিয়া নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। মঙ্গলবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ। পাশে মেলে সুইসাইড নোট। সেখানে লেখা ছিল তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
হোয়াট্সঅ্যাপে স্টেটাসে লিখেছিলেন (Krishnanagar Incident)
জানা যাচ্ছে, এদিন প্রথম জিনিয়াই দেখতে পান স্বামীর ঝুলন্ত দেহ (Krishnanagar Incident)। তারপর খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। হোয়াট্সঅ্যাপে স্টেটাসে লিখেছিলেন, ‘আমি সুইসাইড করব।’ বাবার দাবি, তার কিছু ক্ষণ পরেই ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় দোকান থেকে। কেন আত্মহত্যা করছেন, তা লেখেননি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা রাজকুমার সাধুখাঁ। প্রতিবেশীদের দাবি, ওই পরিবারে আর্থিক সমস্যার কথা কেউ শোনেননি। দাম্পত্য কলহের কথাও কেউ জানেন না।

আরও পড়ুন: Agra: স্ত্রীর বিরুদ্ধে হেনস্তা ও বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলে আগ্রায় আত্মঘাতী যুবক
‘সব টাকা কেড়ে নিত’
মৃতের বাবার দাবি, ঘটনার দায় পুত্রবধূ জিনিয়ার। অভিযোগ, স্ত্রী নাকি দীর্ঘদিন ধরে রাজকুমারের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিল। টাকা-পয়সা কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি চলত মানসিক অত্যাচার। সেই অত্যাচার সইতে না পেরেই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি মৃতের বাবার। পুলিশের কাছে মৃতের বাবার দাবি করেন, ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী বৌমা। তিনি বলেন, ‘‘বৌমা আমার ছেলের কাছ থেকে সব টাকা কেড়ে নিত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে রাজকুমার।’’
স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ
রবিবার দুপুরে দোকানে সিলিং ফ্যানে দড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রাজকুমার। টের পেয়ে স্ত্রী-ই তাঁকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাজকুমারের বাবার অভিযোগ অনুযায়ী, মৃতের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। কৃষ্ণনগর থানার এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।