ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : আদালত অবমাননার মামলায় কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) নিয়মিত ব্যক্তিগত হাজিরা আপাতত রদ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিশেষ বেঞ্চের রুল জারি করার এক্তিতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণালের আইনজীবী। আগামী ৩০ জুন, সোমবার মামলার পরবর্তি শুনানি।
কুণালের পক্ষে সওয়াল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kunal Ghosh)
আদালত অবমাননা মামলায় সোমবার তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে শুনানি ছিল। কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সশরীরে আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতের নির্দেশে এদিন তাঁর নামের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে হলফনামা পেশ করা হয়। তাঁর পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, আদালত অবমাননার রুল জারি করার এক্তিয়ার এই বেঞ্চের নেই। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।
কুণালের আইনজীবীর দাবি (Kunal Ghosh)
এদিন আদালতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘এই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার প্রধান বিচারপতির নির্দেশ আমরা হাতে পাইনি। যদি আমি কোনও ভুল করে থাকি তাহলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি।প্রধান বিচারপতি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা প্রশাসনিক নির্দেশ ছিল। সেখানে তিনি অবমাননার মামলা শুরু করার কোনও প্রক্রিয়ার কথা বলেননি। প্রধান বিচারপতি কোনও রুল জারি করেননি। প্রধান বিচারপতি রুল জারি না করলে এই বেঞ্চের রুল জারি করার এক্তিয়ার নেই (Kunal Ghosh)।’
নিয়মিত ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি
সব পক্ষের দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর আদালত কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) নিয়মিত সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেয়।ফলে মামলার পরবর্তী শুনানি থেকে তাঁকে আর আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে না। সেক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় তখনই তাঁকে ডাকা হবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। আগামী সোমবার আবারও এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন : HC On RG Kar Case : মেয়ের নির্যাতনের স্থান দেখতে চান, হাইকোর্টে আবেদন আরজি করে নির্যাতিতার মা-বাবার
প্রসঙ্গত, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অবমাননা, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্য এবং ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থার অভিযোগে কুণাল ঘোষ সহ আপার প্রাইমারির এসএলএসটি শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই কুণাল ঘোষ-সহ আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করে আদালত এবং নোটিস পাঠানো হয়। কেন তাঁকে জেলে পাঠানো হবে না বা শাস্তি দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই নোটিসে।গত সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় কুণাল ঘোষকে হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চের সামনে উত্তরসহ সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সেইমতো তিনি উপস্থিত হন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিশেষ বেঞ্চের এক বিচারপতি উপস্থিত না থাকায় বেঞ্চ বসেনি। এবং শুনানি হয়নি। তখন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে কুণাল ঘোষকে হাজিরা নথিভুক্ত করানোর নির্দেশ দেন। সেইমতো হাজিরা নথিভূক্ত করে আদালত ছাড়েন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন : Weather Forecast: উত্তর-দক্ষিণজুড়ে বর্ষার দাপট, আবহাওয়া থাকবে কেমন?
গত ১৯ মে আদালতের নির্দেশ মেনে আগেই আদালতে হাজির হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। ফৌজদারি আদালত অবমাননা হয়েছে বলে উত্তর চায় আদালত। সেই উত্তর অভিযুক্তরা কেউ না দেওয়ায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রুল জারি করে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। নোটিস পাঠানো হয়। কেন তাঁকে জেলে পাঠানো হবে না বা শাস্তি দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই নোটিসে। কুণাল ঘোষকে হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চের সামনে উত্তরসহ সশরীরে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। পাশাপাশি এও বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি আদালত থেকে বেরতে পারবেন না।