ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উন্নত ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি ও বিনিয়োগ (Labor Law Amendment) আকর্ষণের লক্ষ্যে ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম আইন সংস্কার করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে নিয়োগ ও ছাঁটাইয়ে অধিক অধিকার দেওয়া হয়েছে এবং কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সহজ করা হয়েছে।
কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা এখানে প্রশ্নের মুখে! (Labor Law Amendment)
পরিবর্তিত শ্রম আইনে, ১৯৪৭, এখন ৩০০ জন পর্যন্ত কর্মী নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোকে (Labor Law Amendment) সরকারের অনুমতি ছাড়াই কর্মী নিয়োগ ও ছাঁটাই করার সুযোগ দেয়া হয়েছে, যা পূর্বের ১০০ জন কর্মী পর্যন্ত সীমার থেকে অনেক বেশি। এই সংস্কারের মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম আরও দ্রুত ও সহজে পরিচালনা করতে পারবে। কিন্ত কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা এখানে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
কর্মীসংখ্যার সীমা বাড়ানো (Labor Law Amendment)
ফ্যাক্টরি আইনের আওতায় কলকারখানার জন্য কর্মীসংখ্যার সীমাও (Labor Law Amendment) বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী কলকারখানার ক্ষেত্রে কর্মীর সংখ্যা ১০ থেকে বাড়িয়ে ২০ বা তার বেশি করা হয়েছে, আর বিদ্যুৎ ব্যবহার না করা কলকারখানায় ২০ থেকে বাড়িয়ে ৪০ বা তার বেশি করা হয়েছে। এর ফলে কম সংখ্যক প্রতিষ্ঠান কঠোর নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং অনেক কোম্পানির জন্য নিয়মাবলী মানা সহজ হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মসংস্থান
২৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মসংস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী, নিয়োগকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মী নিয়োগ করতে পারবেন, যা ব্যবসার প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মী নিয়োগের সুযোগ এনে দেবে।
অপরাধ মীমাংসা সহজ করা হল
২১টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শাস্তিযোগ্য নয় এমন বা কারাদণ্ডসহ অপরাধের মীমাংসার (কম্পাউন্ডিং) বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। চারটি শ্রম কোডে সর্বোচ্চ জরিমানার ৫০ শতাংশ পরিমাণে জরিমানা দিয়ে এসব অপরাধের নিষ্পত্তি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

চুক্তিভিত্তিক শ্রম আইনে পরিবর্তন
চুক্তিভিত্তিক শ্রম নিয়ন্ত্রণ ও প্রত্যাহার আইন, ১৯৭০-এও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে যেসব প্রতিষ্ঠানে ২০ জন বা তার বেশি কর্মী থাকলে আইন প্রযোজ্য হত, সেখানে এখন এই সীমা ৫০ জন কর্মী পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে ছোট ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সহজ হবে।
কেন্দ্রের বিলম্বের মাঝে রাজ্য এগিয়ে
মন্ত্রকের সূত্র মারফত জানা যায়, রাজ্যগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের শ্রম আইন সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে যাতে তারা ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকে। এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, “রাজ্যগুলি বুঝতে পেরেছে, শ্রম আইন সংস্কার না করলে তারা ব্যবসায়িক সুযোগ হারাবে এবং বিনিয়োগ অন্য রাজ্যে চলে যাবে”।
আরও পড়ুন: Shani Vrihaspati Yoga: ৫০০ বছরে প্রথম যোগ’, কেমন পরিবর্তন আনছে শনি–বৃহস্পতির মহাসংযোগ?
তবে কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম কোডের খসড়া নিয়মাবলী প্রকাশে ধীরগতি অব্যাহত রেখেছে। শ্রম বিষয়ক আইন হওয়ায় কেন্দ্র এবং রাজ্য দু’পক্ষের অনুমোদন বাধ্যতামূলক, যা এখনও মেলেনি। সরকারি সূত্র মারফত খবর, ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিরোধিতা এবং রাজ্যগুলোর নিয়মাবলী চূড়ান্ত না করার কারণেই এই বিলম্ব। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংস্কার কার্যকর হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।