Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অনেকেই এমন আছেন যাদের দুধ খেলে (Lactose Intolerance) একেবারেই সহ্য হয় না। পেট কামড়ায়, বারবার ছুটতে হয় বাথরুমে। কেন এমন হয়? দুধ বা দুগ্ধজাত যে কোনও দ্রব্যেই থাকে ল্যাকটোজ। যা অনেকের শরীরেই সহ্য হয় না। তবে উপায়? দুধের স্বাদ কি ঘোলেই মেটাতে হবে? তা কেন? বাজারে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা হবে এসব দুধ বা দুগ্দ্ধজাত দ্রব্যের বিকল্প উপাদান।
গরুর দুধের বদলে ওটস মিল্ক (Lactose Intolerance)
গরুর দুধ হল আদর্শ খাদ্য। শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন (Lactose Intolerance) আসে এটা থেকেই। আর দুধের মধ্যে থাকা প্রধান উপাদান হল ল্যাকটোজ। তবে ল্যাকটোজ তো সহ্য হয় না অনেকের। তাই গরুর দুধের বিকল্প হতে পারে ওটস মিল্ক। ওটস মিল্কে আছে ফাইবার ও প্রোটিন। আর আছে পিউরিন।
পনিরের বদলে টোফু (Lactose Intolerance)
দুধ গরম করে লেবু দিয়ে কাটানো (Lactose Intolerance) হয় ছানা। ছানা সারারাত চাপে রেখে বানানো হয় পনির। এবার এই পনির খেলেও হতে পারে অসুবিধা। টোফু বানাবেন কিভাবে? সয়া মিল্ক আগে গরম করে নিন। তারপর তারমধ্যে দিন অল্প ভিনিগার। সারারাত জল ঝরিয়ে রেখে দিন। হয়ে গেল টোফু। এবার তরকারি, স্যালাড যা ইচ্ছে তাই খেয়ে নিন।
আরও পড়ুন: Detox Water: শরীরের চাই ডিটক্সিফিকেশন, পান করতে পারেন ডিটক্স ওয়াটার
দই-এর বদলে ফ্রোজেন ইয়োগার্ট
দইয়ে থাকে ল্যাকটোজ। যেটা ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স মানুষদের জন্য একেবারে ঠিক নয়। তবে খাবেন কি? বাজারে অনেক ধরণের ফ্রোজেন ফ্রুট ইয়োগার্ট পাওয়া যায় যেগুলো একেবারে ডেয়ারি ফ্রি। সেগুলো খেতে পারেন অনায়াসে।
বাটার নয় পিনাট বাটার
বাটার ও তো তৈরী হয় দুধ থেকেই। আর স্বাভাবিকভাবেই দুধে থাকে ল্যাকটোজ। তাই বাটারের পরিবর্তে খেতে পারেন পিনাট বাটার। বাদামের মধ্যে যে ফ্যাট থাকে সেই ফ্যাট দিয়েই তৈরী হয় এই বাটার। হ্যাঁ যাদের বাদামে অ্যাল্যার্জি আছে তারা ভুলেও এই বাটার খাবেন না। স্বাভাবিক বাটারের থেকে এই বাটারে ফ্যাট থাকে অল্প একটু বেশি। কারণ বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে লিপিড।
মিল্ক চকোলেট না ডার্ক চকোলেট
অনেকের ধারণা যে, চকলেট স্বাভাবিকভাবেই মিষ্টি হয়। আসলে না। ক্যাকাও নামের এক ফলের গাছ থেকে তৈরী হয় চকোলেট। প্রথমে ক্যাকাও গাছের ফলের বীজ নিয়ে নেওয়া হয়। সেগুলো ভালো করে শুকনো করে আগে ছাড়িয়ে নিতে হয়। তারপর শুকনো বীজগুলো গুঁড়ো করা হয়। সেটাই আসল চকোলেট। আসল চকোলেট কিন্তু খেতে তিতকুটে ধরণের হয়। কনডেন্স মিল্ক ও চিনি যোগ করলেই সেটা হয় মিল্ক চকোলেট। তাই যারা চকোলেট-এর আসল স্বাদ পেতে চান, অথচ ডেয়ারির ভয়ে খাচ্ছেন না, তারা কিন্তু আসল ডার্ক চকোলেট খেতেই পারেন।