ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কসবায় চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় পুলিশের আচরণের ব্যাখ্যা চেয়ে জবাব তলব লালবাজারের (Kasba incident)। সাউথ সাব-আর্বান ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার বিদিশা কলিতার কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব। চাকরিহারাদের লাথি কেন? পুলিশের আচরণের জবাব তলব লালবাজারের।
কসবার ঘটনায় উত্তাল শহর (Kasba incident)। চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বুকে জমে থাকা হতাশা, ক্ষোভ—সব ফেটে পড়ে বুধবার। আর সেই অস্থিরতার জেরে, একবারের জন্যও কি সহানুভূতির জায়গা থেকে ভাবা হল না? বরং দৃশ্যটা আরও ভারী করে তোলে লাঠিচার্জ, কান্না, আতঙ্ক আর এক শিক্ষককে লাথি মারার মতো দৃশ্য।
পুলিশের আচরণের জবাব তলব (Kasba incident)
এই ঘটনার জেরে কড়া প্রশ্ন লালবাজারের। সাউথ সাব-আর্বান ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার বিদিশা কলিতার কাছে তলব করা হয়েছে ব্যাখ্যা—ঠিক কী পরিস্থিতিতে চাকরিহারারা DI অফিসে ঢুকে পড়লেন? এমন কী হল, (Kasba incident) যাতে পুলিশ লাঠি চালাতে বাধ্য হল? ভিডিওতে এক শিক্ষকাকে লাথি মারতে দেখা গেছে, তাঁর সঙ্গে এমন কী ঘটেছিল, যে তিনি এমন আচরণ করলেন?
এছাড়াও, কত সংখ্যক পুলিশ সেইদিন মোতায়েন ছিল? পুলিশের কাছে কী স্পষ্ট ধারণা ছিল, কত মানুষ আসবেন চাকরি ফেরতের দাবি নিয়ে? এই প্রশ্নগুলোরও উত্তর চেয়েছে লালবাজার (Kasba incident)।
অন্যদিকে, প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে প্রশাসন। একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে (Kasba incident)। অন্যটি কসবা থানার পুলিশ নিজে থেকে দায়ের করেছে—দু’টি মামলাই করা হয়েছে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে।
চাকরি হারানোর পর জীবনের নিরাপত্তাহীনতা, অনিশ্চয়তা, পরিবারের মুখ চেয়ে লড়াই—এই সব মিলিয়ে বারবার পথে নামছেন প্রার্থীরা। কিন্তু প্রতিবার কি তাঁদের শুধু লাঠির জবাবই পেতে হবে? প্রশ্নটা এখন রাস্তায়, আদালতে, প্রশাসনের ঘরে ঘরে।