ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্ষাকাল চললেও গরমের দাপট মাঝে মাঝেই মাথা চাগিয়ে উঠছে অগত্যা ভরসা এসি। কিন্তু বর্ষায় ঘন ঘন এসি চালাতে বিকল হতে পারে যন্ত্র (Lifestyle)। এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি, আসুন জেনে নিই সেগুলো কী কী।
ভুল করেও ভুল না (Lifestyle)
বৃষ্টি হলেও গরম খুব একটা কমে নিই তাই দরদর ঘাম যেন অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে। সারাদিন কোনোভাবে কাটালেও রাতে যেন এসি চালাতেই হয় (Lifestyle)। তাতেই কিন্তু হতে পারে যন্ত্র বিকল।
বর্ষাতেও রাতে এসি চালান অনেকে। এসি চালিয়ে গায়ে চাদর জড়িয়ে ঘুমোনোর আলাদা একটা অনুভূতি আছে (Lifestyle)। তবে এই খামখেয়ালি আবহাওয়ায় এসি চালালে যেমন শরীর খারাপ হতে পারে তেমনই বর্ষায় ঘন ঘন এসি চালালে বিকল হতে পারে যন্ত্রও।
১) এসির বন্ধ করার সময় মূল সুইচটি বন্ধ করতে ভুলবেন না। এতে কারেন্ট বাঁচে, ঝুঁকি কমে। বর্ষাকাল মানেই যেকোনও সময় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে (Lifestyle)। বজ্রবিদ্যুতের সময় এসির মেন সুইচ বন্ধ না থাকলে কিংবা প্লাগ খুলে না রাখলে, যন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে।
২) গরমে এসি সার্ভিসিং করার তাগিদ থাকে। কারণ তখন এক দিন এসি বন্ধ থাকা মানে ঘুমের দফারফা (Lifestyle)। বর্ষায় গরমের ভাব ততটাও থাকে না। ফলে এসির যত্ন নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথাও থাকে না। তবে বর্ষাতেও কিন্তু এসির বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ বৃষ্টিতে শর্ট সার্কিটের ঝুঁকি থাকে।

আরও পড়ুন: Cricket Update: দায়িত্ব বাড়লো গিলের, নতুন কোন দলের গুরুদায়িত্ব এবার গিলের কাঁধে?
৩) ‘ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি’ অনুসারে, কারেন্ট বাঁচাতে এসির সঠিক তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রিতেই রাখতে বলা হয়। ২০২০ সালে এই নির্দেশ দিয়েছিল ‘বিইই’। বর্ষায় এমনীতেই তাপমাত্রা খানিকটা কমে যায়। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে এসির তাপমাত্রা নির্দিষ্ট করলে, বাড়তি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

৪) এসির বাইরের অংশটিও প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। টানা ভারী বৃষ্টির পরে, লোক ডেকে তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। না হলে খারাপ যন্ত্রাংশ বিপদের কারণ হতে পারে (Lifestyle)।