ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : অনেকেই একঢাল লম্বা চুলের (Hair Care) স্বপ্ন দেখে থাকেন। কাঁধ ছাড়িয়ে কোমর পর্যন্ত চুল বড় করার ইচ্ছা অনেকেরই রয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও চুল লম্বাই হতে চায় না। জিনগত কারণে কিছু মানুষ জন্মগত ভাবেই লম্বা চুল পেয়ে থাকেন, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুল বড় করার জন্য সঠিক যত্নের প্রয়োজন। চুল বড় করার জন্য বাজারে প্রচুর নামী-দামি প্রসাধনী পাওয়া যায়, যেগুলি চুল বড় করার দাবি করে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলি তেমন কার্যকরী হয় না। তবে কিছু সহজ উপায় (Hair Care) মেনে চললেই আপনিও পেতে পারেন লম্বা চুল।
মাথার ত্বকের যত্ন (Hair Care)
চুলের স্বাস্থ্য (Hair Care) এবং বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মাথার ত্বকের যত্ন নেওয়া। চুল লম্বা করতে হলে মাথার ত্বকে পুষ্টি পৌঁছানো এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি খুবই জরুরি। সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যা মাথার ত্বকের জন্য উপযোগী। শ্যাম্পু করার সময় মাথার ত্বকে ভালভাবে মাসাজ করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করবে। এছাড়া, চুলের বৃদ্ধির জন্য মাথার ত্বকে ঘন ঘন ব্রাশ করুন। এতে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় এবং স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত ঘাম ও তৈলাক্ততা দূর হয়। মাথার ত্বকে থাকা প্রাকৃতিক তেল ব্রাশের কারণে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়ে।
মাথার ত্বকে মালিশ (Hair Care)
মাথার ত্বকে মালিশ করা চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই কার্যকরী। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকলে চুল দ্রুত লম্বা হতে পারে। টি ট্রি অয়েল ,গরম জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এবং এটি মাথার ত্বকে অল্প অল্প করে মালিশ করুন (Hair Care)। রোজ সকালে এটি করলে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা হবে। টি ট্রি অয়েল মাথার ত্বকে থাকা যেকোনো ধরণের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে, ফলে চুলও দ্রুত বাড়ে।
নিয়মিত ট্রিমিং প্রয়োজন
চুলের বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় বাধা হল স্প্লিট এন্ড বা চুলের ডগা ফেটে যাওয়া। এর ফলে চুলের বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়। তাই চুলের নিয়মিত ট্রিমিং করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, ২-৩ মাস পর পর চুল ট্রিমিং করা উচিত। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং স্প্লিট এন্ড দূর হয়, ফলে চুল স্বাস্থ্যোজ্বল থাকে। ট্রিমিং এর ফলে চুলের বৃদ্ধি আরও দ্রুত হতে পারে এবং চুলের ডগা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

অবসাদ দূর করুন
চিন্তা, উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ চুলের বৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলে। স্ট্রেসের কারণে চুল পড়তে পারে এবং তাদের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। তাই মানসিক অবসাদ দূর করা খুবই জরুরি। নিজের মন শান্ত রাখুন, দৈনন্দিন জীবনে আনন্দিত থাকার চেষ্টা করুন। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করুন। নিয়মিত ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং সহজতর জীবনধারা মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
সুষম আহার
চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্য সুষম খাদ্য খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে চুল দ্রুত লম্বা হতে চায় না। শাকসবজি, ফল, ওটস, ডালিয়া ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। সকালের খাবারে শাকসবজি, ফল, বাদাম এবং অন্যান্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। এইসব খাবার চুলের পুষ্টি যোগাতে এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন : Ajwain Benefits: রোজ জোয়ান খাওয়ার অভ্যেস? জানুন এর উপকারিতা
লেবুজল খান
লেবুজল চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি শুধু শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না, পাশাপাশি চুলও লম্বা করতে সহায়ক। প্রতিদিন সকালে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এটি শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। লেবুজলে থাকা ভিটামিন সি চুলের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য উপাদান, যা চুলকে স্বাস্থ্যকর ও মজবুত করে।
আরও পড়ুন : Headache Relief Tips: অসহ্য মাথা ব্যথা? ঘরোয়া এই পাঁচ উপায়েই লুকিয়ে সমাধান
শরীরচর্চা
শরীরচর্চা চুলের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সকালে কিছুটা শরীরচর্চা করুন, যেমন যোগব্যায়াম, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো অথবা কোনো হালকা ব্যায়াম। এতে শরীরের প্রতিটি অংশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলে অক্সিজেন সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে, ফলে চুল দ্রুত লম্বা হয়।