ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টানা ছ’দিন ধরে আগুন জ্বলছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে জনতা, রাস্তায় রাস্তায় চলছে প্রতিবাদ, লুটপাট ও সংঘর্ষ (Los Angeles Protest)। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে যে, শহরজুড়ে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি করা হচ্ছে কার্ফু, যাতে শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে শহর থেকে শহরে (Los Angeles Protest)
শুধু লস অ্যাঞ্জেলেসেই নয়, প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যান্য শহরে(Los Angeles Protest)। নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা, ডেনভার, সান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটেল— সব বড় শহরেই একযোগে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। লক্ষ্য একটাই— ট্রাম্পের (Donald J. Trump) কঠোর অভিবাসন নীতি ও শুল্ক দফতরের ‘অমানবিক’ আচরণের বিরুদ্ধে সরব হওয়া।
নিরাপত্তা জোরদার, গ্রেফতার ৪০০+ (Los Angeles Protest)
শহরের মেয়র কারেন বাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন(Los Angeles Protest)। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে জারি করা হয়েছে কার্ফু, রাস্তায় মোতায়েন হয়েছে প্রায় ৪০০০ ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা। সেনা নামানো হয়েছে টেক্সাস প্রদেশেও। সোমবার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ ৪০০-রও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, অধিকাংশ গ্রেফতার হয়েছে কার্ফু অমান্য, অবৈধ জমায়েত, এবং অস্ত্র বহনের জন্য। কয়েক জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর উপর আক্রমণের অভিযোগও উঠেছে।

আরও পড়ুন: UK On Bangladesh :স্টার্মারের সঙ্গে ইউনূসের সাক্ষাৎ অনিশ্চিত! বৈঠকে অনাগ্রহ ব্রিটেনের
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ (Los Angeles Protest)
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিক্ষোভ দমন করতে সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ফের একবার চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন(Los Angeles Protest)। ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট নেতারা এই পদক্ষেপকে “দমনমূলক এবং লোক দেখানো” বলে কটাক্ষ করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন নিজেও ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা এই পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন বলেও জানা গেছে।

আতঙ্কে সাধারণ মানুষ (Los Angeles Protest)
লস অ্যাঞ্জেলেস শহর এখন কার্যত অর্ধ-সামরিক জোন(Los Angeles Protest)। দোকানপাট, স্কুল-কলেজ বন্ধ। রাত নামলেই এক অদ্ভুত থমথমে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। সেনা টহল দিচ্ছে রাস্তা জুড়ে। আতঙ্কে গৃহবন্দি সাধারণ মানুষ। আমেরিকার মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে সেনা নামিয়ে অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ দমন—এটা কেবল রাজনৈতিক বিতর্ক নয়, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ আগামী দিনে আরও তীব্র আকার নিতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।