ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি ঘিরে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস। চলমান বিক্ষোভ সামাল দিতে সেনা নামিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Los Angeles Protest)। দাবি করলেন, ‘‘বিদেশি শত্রুদের হাত থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসকে রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত।’’ গত পাঁচ দিন ধরে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলছে লাগাতার বিক্ষোভ ও লুটপাট। আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরে বিশৃঙ্খলা রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছেন ট্রাম্প (Donald J. Trump)। তাঁর যুক্তি, “আমাদের সেনারা বিদেশের মাটিতে রক্ত দিয়েছেন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, নিজের শহরেই যদি সেই নিরাপত্তা না থাকে, তবে সবই বৃথা(Los Angeles Protest)।”
বিরোধিতার মুখে ট্রাম্পের ‘আইরন ফিস্ট’ নীতি (Los Angeles Protest)
প্রথম পর্যায়ে ২০০০ জন এবং পরবর্তী ধাপে আরও ২০০০ জন ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে(Los Angeles Protest)। পাশাপাশি মেরিন বাহিনীরও ৭০০ সদস্য মাঠে নামানো হয়েছে। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কিন্তু এই পদক্ষেপেই প্রবল বিরোধিতা মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম অভিযোগ করেছেন, “কোনও রকম আলোচনা বা অনুমতি ছাড়াই ট্রাম্প সেনা নামিয়েছেন। এটা শুধু অসাংবিধানিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোরও লঙ্ঘন।” রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন(Los Angeles Protest)।
রাজনৈতিক বিতর্কে সেনার ব্যবহার প্রশ্নবিদ্ধ (Los Angeles Protest)
সমালোচকদের একাংশ মনে করছেন, অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে জনরোষ থেকে নজর ঘোরাতেই ট্রাম্প এই কৌশল নিয়েছেন (Los Angeles Protest)। সেনা মোতায়েনের পিছনে ‘বিদেশি শত্রু’ তত্ত্ব তুলে এনে এক ধরণের জাতীয়তাবাদী আবেগ উস্কে দিতে চাইছেন তিনি।তবে ট্রাম্পের জবাব স্পষ্ট: “সরকারি সম্পত্তি ও নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য আমি যা করব, তা দেশরক্ষার স্বার্থেই করব। সেনা শুধু ক্যালিফোর্নিয়ার জন্য লড়ছে না, গণতন্ত্র রক্ষার জন্যও লড়ছে।”

আরও পড়ুন: Calcutta High Court : চিকিৎসকদের দূরে পোস্টিং বিতর্কে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনিকেত মাহাতো
কার্ফু, মামলা ও অচলাবস্থার মধ্যে আমেরিকার গণতন্ত্র (Los Angeles Protest)
এই মুহূর্তে লস অ্যাঞ্জেলেসের স্পর্শকাতর অঞ্চলে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি রয়েছে (Los Angeles Protest)। সেনা মোতায়েনের বৈধতা নিয়ে আইনি টানাপড়েন শুরু হলেও রাস্তায় এখনও উত্তেজনা অব্যাহত।একদিকে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করাই মূল লক্ষ্য”, অন্যদিকে বিরোধীরা বলছেন, “এই সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং রাজ্যের অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করছে।”লস অ্যাঞ্জেলেসে সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে এখন শুধু আমেরিকার রাজনীতি নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, নাগরিক অধিকার এবং সেনার দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাম্পের কৌশল কতটা ফলপ্রসূ হয়, তা সময়ই বলবে। তবে আপাতত আমেরিকার রাজনীতি আরও এক দফা উত্তাল হয়ে উঠেছে।