ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এই প্রস্তাবটি সমগ্র ব্রিটেন জুড়ে ভোটাধিকারকে স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের (Lower Voting Age To 16) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে, যেখানে তরুণ ভোটাররা ইতিমধ্যেই বিকশিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
গণতন্ত্রে তরুণদের আরও বেশি অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ (Lower Voting Age To 16)
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগেই ব্রিটেনে ভোট দেওয়ার বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেয়ার স্টারমারের সরকার (Lower Voting Age To 16)। এটি দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এক বড় রকমের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও এই প্রস্তাব এখনও সংসদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, তবুও সরকার বলেছে, এটি ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের প্রতি আরও সুবিচার নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এই তরুণদের অনেকে ইতিমধ্যেই চাকরি করছেন বা সেনাবাহিনীতে কর্মরত। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, ভোটাধিকার বিষয়ে স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের সঙ্গে সমতা তৈরি হবে। এই দুই অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীরা আঞ্চলিক নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন। ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এমন উদ্যোগ নিচ্ছি যা আরও বেশি মানুষকে ব্রিটেনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে।”
সহজতর হচ্ছে ভোটার আইডির নিয়ম (Lower Voting Age To 16)
এই সংস্কারের আওতায় ভোটার আইডি নিয়মেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে (Lower Voting Age To 16)। এবার থেকে ব্রিটেনের ইস্যু করা ব্যাংক কার্ড, ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভেটেরান কার্ডসহ অন্যান্য ডিজিটাল আইডিও ভোট দেওয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। এতে আরও বেশি মানুষ সহজেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: New Ceasefire Announced: ইজরায়েলি হামলার মধ্যেই নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা! শান্ত হবে কী সিরিয়া?
বিদেশি হস্তক্ষেপ ও অনৈতিক অনুদান বন্ধে কঠোর হচ্ছে আইন
সরকার আরও জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে অনৈতিকতা ও বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখতে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করা হবে। ৫০০ পাউন্ডের বেশি অনুদানে কঠোর যাচাই প্রক্রিয়া চালু করা হবে এবং ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে অনুদান দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হবে।
ভোটার টার্নআউট বাড়াতে বিশেষ নজর
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ৫৯.৭ শতাংশ, যা ২০০১ সালের পর সর্বনিম্ন। সংসদের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ফলে ভোটার রেজিস্ট্রেশন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে স্টারমার সরকার। হাউস অব কমন্স লাইব্রেরির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ করা হয়েছে, সেসব দেশে নির্বাচনের ফলাফলে কোনও বড় প্রভাব পড়েনি। বরং, দেখা গেছে ১৬ বছর বয়সীরা ১৮ বছর বয়সীদের তুলনায় ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি আগ্রহী।
নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে লেবার
এক বছর আগে বড় জয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর স্টারমার নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে। তবে দলটি নির্বাচনের আগেই ঘোষণা করেছিল, ক্ষমতায় এলে ভোট দেওয়ার বয়স কমানো হবে। এবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে এগোচ্ছে তারা।