ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মাকে নর্দার্ন কমান্ডের নতুন কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। নর্দার্ন কমান্ড জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ সেক্টরের দেখাশোনা করে।
পহেলগামের জঙ্গি হামলার পর সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের (Lt Gen Pratik Sharma)
পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে যখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে, তখন ভারতীয় সেনার উপপ্রধান (কৌশল), লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা-কে নর্দার্ন কমান্ডের নতুন কম্যান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে নিয়োগ করল কেন্দ্র সরকার (Lt Gen Pratik Sharma)। নর্দার্ন কমান্ড জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ অঞ্চলে পাকিস্তান ও চীনের বিরুদ্ধে সমস্ত সামরিক অপারেশনের তদারকি করে।
তিন দশকের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত (Lt Gen Pratik Sharma)
লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা একজন দক্ষ ইনফ্যানট্রি অফিসার (Lt Gen Pratik Sharma)। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অপারেশন পবন, মেঘদূত, রক্ষক ও পরাক্রম-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযানে যুক্ত ছিলেন।
২৮ এপ্রিল কেন্দ্র সরকারের অনুমোদনের পর তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হয় (Lt Gen Pratik Sharma)। এর আগেই তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গে পহেলগাম সফর করেন। ২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরন ভ্যালিতে জঙ্গিরা পর্যটকদের উপর গুলি চালালে ২৬ জন নিহত হন।
নতুন দায়িত্বে এলেন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে
লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা এর আগে সেনার ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস পদে কাজ করেছেন। তিনি মিলিটারি সেক্রেটারি শাখায়ও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। দিল্লির সেনা সদর দফতরের নতুন তথ্য অধিদপ্তরে তথ্য যুদ্ধ পরিচালনার প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: New CJI of India: নতুন মুখ্য বিচারপতি হচ্ছেন ভুষণ গাভাই, ১৪ মে দায়িত্বগ্রহণ করবেন
তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম ভি সুচেন্দ্র কুমার-এর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। সুচেন্দ্র কুমার গত ১৫ মাস ধরে এই পদে ছিলেন। এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন উপেন্দ্র দ্বিবেদীর কাছ থেকে, যিনি এখন সেনাপ্রধান।
জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ ভারতের
২২ এপ্রিল বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের উপর হওয়া জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের প্রাণ যায়, আহত হন অনেকে। এই ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। বন্ধ করা হয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty)। আটকে দেওয়া হয়েছে সমস্ত ভিসা। এমনকি সার্ক ভিসা এক্সেমশন স্কিম (SVES)-এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের দেওয়া ভিসাও বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি, ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানি নাগরিকদের।