ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত বুধবার লখনউ শহরের (Lucknow Murder Case) এক হোটেল রুমের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলাসহ তার চার কন্যার মৃতদেহ। পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করে ওই পরিবারেরই আর এক সদস্য।জানা যায় হত্যাকারী ব্যক্তি নিহতার নিজেরই পুত্র।হত্যাকারির নাম আরশাদ (Lucknow Murder Case)।পরিবারটি আগ্রার বাসিন্দা।
নিহতরা কারা এবং হত্যাকারী কে? (Lucknow Murder Case)
নিহতরা হলেন আসমান (৪৯), আলিশিয়া (১৯), রেহমিন (১৮) এবং আলিয়া (৯)।হত্যাকারী আশরফের বয়স ২৪ বছর মাত্র। তারা হলেন আগ্রা ইসলাম নগর এলাকার বাসিন্দা। ২৪ বছর বয়সী আরশাদ তার মা বোনেদের হত্যার কথা নিজে স্বীকার করেছে বলে জানা যায় (Lucknow Murder Case)।
কেন হত্যা করে বলে জানায় আরশাদ? (Lucknow Murder Case)
আরশাদ তার মা এবং চার বোনকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলে তার পরিবারকে প্রতিবেশীরা দিনের পর দিন হয়রানি করেছে। তাদের দিনের পর দিন ভয় দেখানো হয়েছে। তাদের কিছু হয়ে যাবে এই ভয়ে আরশাদ তাদের হত্যার (Lucknow Murder Case) সিদ্ধান্ত নেয় এমনটাই জানায় সে।
আরও পড়ুন:Hike In Bus Fares: নতুন বছরে শুরুতেই খারাপ খবর, বাসে উঠলেই গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া
কিভাবে হত্যা করে মা বোনেদের?
আরশাদ বলেছে মঙ্গলবার রাত্রে সে তার মা এবং বোনদের মদ্য পান করায়। তারপর বোনের ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাদের। পরে ব্লেড দিয়ে কব্জি কেটে দেয়। আরশাদের বাবা মহম্মদ বদর তাকে এই হত্যা করতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে সে।
স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে কী বলছে সে?
স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি সাড়ে ছয় মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, মা বোনেদের লাশ বিছানায় পড়ে রয়েছে। আরশাদ দিয়েছে একটি স্বীকারোক্তি, “আমি, আমার পুরো পরিবারসহ, অসহায়ত্ব এবং হতাশার মধ্যে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি… আমি আমার বোনদের এবং নিজেকে হত্যা করেছি… আজ 10 দিন হয়ে গেছে, এবং আমরা ফুটপাথে ঘুমাতে এবং ঠান্ডায় ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হয়েছি। সম্পত্তির বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তারা আমাদের কাছ থেকে আমাদের বাড়ি কেড়ে নিয়েছে। আমরা এটি একটি মন্দিরে উত্সর্গ করতে এবং আমাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের কাছ থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে… যখন পুলিশ এই ভিডিওটি পায়, তখন আমি অনুরোধ করি যে তারা এই সমস্ত কিছুর জন্য এলাকার লোকজনকে দায়ী করবে”।
আরও পড়ুন:Modi Attacks AAP: দিল্লিতে ১,৬৭৫ নতুন ফ্ল্যাটের উদ্বোধন, আপকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদীর
তদন্তকারীরা কী বলছেন?
আরশাদকে জেরা এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন সে অপরাধের সিনেমা, সিরিয়াল দেখতেই বেশি পছন্দ করত। অজয় দেবগনের দৃশ্যম ছবি তার অত্যন্ত প্রিয়। কম করে দশবার সে দেখেছে এই সিনেমা। তদন্তকারীরা আরও জানান, এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে হেনস্থা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।
ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা
ঘটনায় লখনউ পুলিশ জানিয়েছে তারা হোটেল রুম থেকে একটি ব্লেড এবং ওড়না উদ্ধার করেছে। পুলিশ আরও জানায়, লখনউতে আনার আগে আরশাদ তার পরিবারকে প্রথমে আজমীরে নিয়ে যায়। ৩০ ডিসেম্বর তিনি নাকা হিন্দোলা এলাকার একটি হোটেলে চেক-ইন করেন। লখনউ পুলিশ কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সেঙ্গার বলেছেন যে তারা অভিযুক্তদের বিবরণ তাদের আগ্রার প্রতিপক্ষের সাথে শেয়ার করেছেন।এই হত্যার আসল কারণ খতিয়ে দেখবে বলে জানায় পুলিশ।