ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হোলির রাতে আকাশে দেখা যাবে লাল রঙের চাঁদ (Blood Moon)! জেনে নিন ভারতের কোথা থেকে দেখা যাবে এই ব্লাড মুন।
৩ বছর পর আবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Blood Moon)
এই বছর ১৪ মার্চ, হোলির রাতে আকাশে দেখা যাবে এক বিশেষ চন্দ্রগ্রহণ (Blood Moon)। চাঁদ তখন লালচে রঙ ধারণ করবে, যাকে বলা হয় “ব্লাড মুন”। প্রায় তিন বছর পর আবার এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে চলেছে। এর আগে ২০২২ সালে শেষবার এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল।
ভারতে কি এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে? (Blood Moon)
ভারতে এই চন্দ্রগ্রহণ দৃশ্যমান হবে না, কারণ এটি ভারতের সময় অনুযায়ী দিনের বেলায় ঘটবে (Blood Moon)। উজ্জয়িনীর জিওয়াজি অবজারভেটরির অধিকর্তা ডঃ রাজেন্দ্র প্রকাশ গুপ্ত জানিয়েছেন, “এই চন্দ্রগ্রহণ আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, পশ্চিম আফ্রিকা এবং উত্তর ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর থেকে দেখা যাবে।”
কোথায় দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ?
বিশ্বের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মানুষ সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাবেন, যা প্রায় ৬৫ মিনিট স্থায়ী হবে।
আরও পড়ুন: Hariali Paneer Tikka Kabab: আজ রেসিপিতে হারিয়ালি পনির টিক্কা কাবাব
ডঃ গুপ্ত আরও জানান, “পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ এশিয়ার কিছু দেশ, ইউরোপ, অ্যান্টার্কটিকা, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকেও দেখা যাবে।”
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কী?
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ঘটে যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে এসে পড়ে এবং সম্পূর্ণভাবে চাঁদের ওপর ছায়া ফেলে। এই সময়ে চাঁদ লালচে রঙ ধারণ করে, যা “ব্লাড মুন” নামে পরিচিত। এর কারণ হল, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্যের আলো ছেঁকে দেয় এবং লম্বা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের লাল ও কমলা আলো চাঁদের পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়। ফলে চাঁদ লালচে দেখায়। যে কোনও স্থানে, যেখানে চন্দ্রগ্রহণ চলাকালীন চাঁদ আকাশে থাকবে, সেখান থেকে এই দৃশ্য দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: Soyabean Recipe: আজ ডিনার সারুন সয়াবিন দিয়ে, রইল পাঁচ রেসিপি!
কীভাবে দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ?
যারা এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে চান, তাদের কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমে একটি খোলা জায়গা বেছে নিন, যেখানে শহরের আলো কম এবং আকাশ স্পষ্টভাবে দেখা যায়। দূরবীন বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করা যেতে পারে, যদিও খালি চোখেই এই দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব। তবে টেলিস্কোপ বা দূরবীন ব্যবহার করলে চাঁদের পৃষ্ঠ আরও ভালোভাবে দেখা যাবে।
এই “ব্লাড মুন” এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। যারা সৌরজগতের রহস্যময় সৌন্দর্য ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।