ট্রাইব টিভি ডিজিটাল বাংলা: গঙ্গা, ভারতবর্ষের এক অতি পবিত্র নদী, সম্পর্কে বহু (Maa Ganga River) ভবিষ্যদ্বাণী প্রচলিত রয়েছে। আধ্যাত্মিকতা এবং বিজ্ঞানের সম্মেলনে অনেকেই দাবি করেছেন যে মা গঙ্গার স্বর্গে ফিরে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোমুখ হিমবাহ, যেখান থেকে গঙ্গার প্রবাহ শুরু হয়, তা বিপদের সম্মুখীন। যদি আমরা পুরাণে বর্ণিত ঘটনাবলীর দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যায়, গঙ্গার অদৃশ্য হওয়ার সময় আসন্ন।
ক্রুদ্ধ মা গঙ্গা (Maa Ganga River)
শ্রীমদ্দেবীভাগবত পুরাণের মধ্যে এই বিষয়টি উল্লেখ (Maa Ganga River) করা হয়েছে। সেখানে ভগবান বিষ্ণু নারদজিকে বলেছেন, গঙ্গা কখন স্বর্গে ফিরে যাবে। তিনি বলেন, কলিযুগে ৫০০০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর, যখন পৃথিবীতে পাপ ও অশান্তি বৃদ্ধি পাবে, তখন ধর্ম ও বিশ্বাসের জায়গা দখল করবে লোভ ও লালসা। তখন ভক্তির পরিবর্তে ভণ্ডামি প্রাধান্য পাবে। এমন পরিস্থিতিতে মা গঙ্গা ক্রুদ্ধ হয়ে স্বর্গে চলে যাবেন।
মা গঙ্গার পৃথিবী ত্যাগ (Maa Ganga River)
পুরাণে উল্লেখ আছে যে, গঙ্গার চলে যাওয়ার পরে, মানুষ গঙ্গায় পাপ ধোয়ার (Maa Ganga River) যোগ্যতা হারাবে। এর আগে সরস্বতী এবং পদ্মা নদীও পৃথিবী ত্যাগ করেছে। ভগবান বিষ্ণু বলেন, কলিযুগের ৫০১৩ বছর পূর্ণ হওয়ার পর, এখন কেবল গঙ্গা অবশিষ্ট রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বৃন্দাবন এবং কাশী ছাড়া সমস্ত তীর্থস্থানও পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে।
ভগবান বিষ্ণুর ভবিষ্যদ্বাণী
ভগবান বিষ্ণুর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, যখন কলিযুগের দশ হাজার বছর পূর্ণ হবে, তখন শালিগ্রাম, শিব, শক্তি এবং জগন্নাথও পৃথিবী ত্যাগ করবে। সেই সঙ্গে দেবতাদের পূজা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, কীর্তন এবং সাধুরাও পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

অস্তিত্বের উপর প্রভাব
এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি যদি সত্যি হয়, তাহলে সকলের জন্য এটি একটি গভীর চিন্তার বিষয়। গঙ্গার নদী শুধু একটি জলধারা নয়, বরং এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মা গঙ্গা, যে সারা জীবন মানবতার কল্যাণে প্রবাহিত হয়েছে, তার অদৃশ্য হওয়া আমাদের অস্তিত্বের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন: Cow Dung Cover Home: একমাস গৃহবন্দী গরু, দরজা খুলেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন মালিক!
এরপরেও কি মানুষ সচেতন হবে? আধ্যাত্মিক বিষয় সরিয়ে রেখে পরিবেশের কথা চিন্তা করলেও কিন্তু মা গঙ্গার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর।