ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রায় সময়ই দেখা যায়, অভিনেতা অভিনেত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হচ্ছেন (Madhubani Goswami)। অনেকটা পান থেকে চুন খসে পড়ারই মতো। অর্থাৎ তাদের কোনও আচরণ বা কোনও বিষয় পছন্দ না হলেই সমাজ মাধ্যমে এসে নিজেদের মতো বক্তব্য রেখে যান অনেকেই। কিন্তু বক্তব্য রাখার আগে তারা ভেবেও দেখে না, তাদের নিজেদের বক্তব্যটা কতটা যুক্তিযুক্ত। এবার অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামীর (Madhubani Goswami) ক্ষেত্রেও তাই দেখা গেল। তাঁকে নানা রকম কটুকথার শিকার হতে হল। এমনকি অভিনেত্রীকে শুনতে হয়েছে ‘ডাকিনী’ কটাক্ষ। কী কারণে তাঁকে এমন কথা বলা হল? প্রতিবাদ করলেন অভিনেত্রী। কী বললেন তিনি?
ছোটপর্দায় দেখা যায় না (Madhubani Goswami)
অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামীকে (Madhubani Goswami) অনেক দিন ছোট পর্দাতে দেখা যায়নি। আপাতত তিনি তাঁর স্যাঁলো, ছেলে কেশব ও পরিবার নিয়েই ব্যস্ত আছেন। অভিনেত্রীর ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। এখানে দর্শক তাঁর প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন ভিডিও দেখতে পায়। সম্প্রতি অভিনেত্রী নিজের চুল কালার (Hair colour) করেছেন। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে নেতিবাচক কথা।
অভিনেত্রীকে অপমান (Madhubani Goswami)
অভিনেত্রী মধুবনী (Madhubani Goswami) চুলে সোনালী রং করেছেন। আর এই নিয়ে তাঁর ফেসবুক পেজে নেতিবাচক কমেন্টে ভরে গেছে। অনেকে বলছেন “পাটের মত দেখতে লাগছে।” আবার অনেকে ‘ডাকিনী’ বলছেন। তবে এতদিনেও অভিনেত্রী পাল্টা কিছু মন্তব্য করেননি। কিন্তু আর চুপ থাকতে পারলেন না। তিনি মনে করেন, তাঁকে ডাকিনী বলে শুধু ছোট করা হচ্ছে তাই নয়, অপমান করাও হচ্ছে। তিনি মনে করেন ‘ডাকিনী’ শব্দটা অনেক বড় এবং তার ক্ষমতাও প্রচুর। আর অত ক্ষমতা তাঁর নেই। শুধুমাত্র তাই নয় তা, তিনি মনে করেন, তাঁকে অন্য একটা বড় জায়গায় বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এটা তিনি মানতে পারবেন না। তিনি বারবার অনুরোধ করেছেন যাতে ওই আখ্যা না দেওয়া হয়।
নিজের পছন্দে চলেন
প্রত্যেকের স্বাধীনতা আছে, সে কেমন ভাবে চলবে বা কেমন সাজবে। তেমনি অভিনেত্রীও মনে করেন, তিনি কারোর অসুবিধা করেননি। তিনি যেটা পছন্দ করেন বা তাঁর যেটা ভালো লাগে, তিনি তেমন ভাবেই চলতে ভালোবাসেন। আর তাঁর এই পছন্দে সমাজের কোনও ক্ষতি হবে বলে মনে করেন না।
আরও পড়ুন: Yash-Nusrat: নুসরতকে কেন আনফলো করলেন যশ? সত্যিটা সামনে আনলেন অভিনেতা
বহুবার শুনতে হয়েছে কটাক্ষ
মধুবনী আরও বলেন, এমন চুলের রং তাঁর স্যালো থেকে অনেকেই করিয়েছেন। আর এটাই প্রথম নয়। এর আগেও নাকে বড় রুপোর নাকছাবি পরা নিয়েও নানা মন্তব্য শুনতে হয়েছিল। আবার হাতে মোটা মোটা শাখা পলা নিয়েও কথা শুনতে হয়েছিল। অবশ্য তিনি তাতে কোনও পাত্তাই দেননি। তিনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী চলতে ভালোবাসেন।