ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মহুয়া মৈত্র এবং পিনাকী মিশ্রের বিবাহ সংক্রান্ত একটি ছবিতে (Mahua Moitra-Pinaki Misra Marriage) দেখা গিয়েছে যে ৫০ বছর বয়সী মৈত্র এবং ৬৫ বছর বয়সী মিশ্র হাত ধরে হাসছেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
ছড়াল ছবি, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো হয়নি (Mahua Moitra-Pinaki Misra Marriage)
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ও প্রাক্তন বিজেডি সাংসদ পিনাকী মিশ্র বিদেশে এক ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছেন বলে জানাচ্ছে একাধিক সংবাদমাধ্যম (Mahua Moitra-Pinaki Misra Marriage)। একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে, যেখানে ৫০ বছর বয়সি মহুয়া মৈত্র ও ৬৫ বছর বয়সি পিনাকী মিশ্রকে হাত ধরাধরি করে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে। যদিও এই বিয়ে নিয়ে দুই রাজনীতিবিদের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। এই ছবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি ট্রাইব টিভি-র পক্ষে।
কে মহুয়া মৈত্র? (Mahua Moitra-Pinaki Misra Marriage)
মহুয়া মৈত্র জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৪ সালের ১২ অক্টোবর, আসামে (Mahua Moitra-Pinaki Misra Marriage)। কর্মজীবন শুরু করেন একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসেবে। পরে রাজনীতিতে যোগ দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের মাউন্ট হোলিওক কলেজ থেকে ইকোনমিক্স ও ম্যাথেমেটিক্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন, ম্যাগনা কাম লাউডে সম্মানে পাশ করেন।
২০১০ সালে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার নির্বাচিত হন। পরে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দু’বার সাংসদ হন।
আরও পড়ুন: Bengaluru Stampede: ১৩ বছরে করুণ পরিণতি!বেঙ্গালুরুর পদপিষ্টে মৃতদের তালিকা প্রকাশ পুলিশের
তাঁর তীক্ষ্ণ বক্তব্য ও সংসদে আগ্রাসী ভাষণ তাঁকে জাতীয় স্তরে পরিচিত করে তোলে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়ে একাধিকবার কড়া সমালোচনা করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। যদিও প্রথমবার সাংসদ থাকাকালীন “ক্যাশ ফর কোয়েরি” অভিযোগের জেরে সংসদের সদস্যপদ খোয়ান।
কে পিনাকী মিশ্র?
পিনাকী মিশ্র জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৯ সালের ২৩ অক্টোবর, ওড়িশার পুরীতে। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স এবং ল’ ফ্যাকাল্টি থেকে আইন বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন কংগ্রেসের হাত ধরে। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার পুরী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। পরে নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল (BJD)-এ যোগ দেন। সেই দলের হয়ে ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হন।
সংসদে তাঁর অভিজ্ঞতা যথেষ্ট সমৃদ্ধ। তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফিনান্স, বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটি, সিভিল অ্যাভিয়েশন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি, ও আইন ও ন্যায়বিভাগ সংক্রান্ত কমিটি।
দু’জন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের নতুন যাত্রা
দু’জনেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এবং রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত মুখ। বিয়ের বিষয়টি যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেননি তাঁরা, তবে সামাজিক মাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর এখন জল্পনা তুঙ্গে। এখন শুধু তাঁদের তরফ থেকে নিশ্চয়তার অপেক্ষা।