ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শুক্রবার মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় চাঁচলের মালতীপুরে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের (Malotipur Case Investigation) কাজ শুরু করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কাটোয়া স্টেশন থেকে আবু তাহের নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে খুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কবে উদ্ধার দেহ? (Malotipur Case Investigation)
শুক্রবার সাতসকালে চাঁচল-২নং ব্লকের মালতীপুরে উদ্ধার হয় মহিলার অর্ধদগ্ধ দেহ (Malotipur Case Investigation)। বিডিও অফিস সংলগ্ন আমবাগানে পুরো দেহ পোড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অনুমান। খবর পাঠানো হয় থানায়, যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। শুরু হয় অনুসন্ধান ও তদন্তের কাজ।
কী কী মিল্ল ঘটোনাস্থলে? (Malotipur Case Investigation)
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় সোনার দুল, জুতো, রক্তমাখা ছুরি (Malotipur Case Investigation)। কিছুটা দূরে জলাশয় থেকে একটি ব্যাগও খুঁজে পায় তদন্তকারীরা। যার মধ্যে ছিল আধার এবং ভোটার কার্ড। সেখান থেকেই মহিলার পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চাঁচল থানার দক্ষিণ শহর এলাকায় মৃতার বাপের বাড়ি। তাঁর বিয়ে হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকায়।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ
বেশ কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ওই মহিলার, সন্তানও আছে দু’টি। বছরখানেক আগে স্বামী সন্তানদের ছেড়ে সে চলে আসে বাপের বাড়িতে। পুলিশের অনুমান, এর মধ্যে আবু তালেবের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁর। কালিয়াগঞ্জে মৃতার স্বশুরবাড়িও খুনের খবর শুনে হতভম্ব। মৃতার স্বামী চাষাবাদের কাজ করেন। বড় ছেলে কাজ করেন ভিন রাজ্যে। মায়ের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই ১ বছর ধরে। দাবি মৃতার ছোট ছেলের। মায়ের খুনির শাস্তি চায় ছেলে বিষ্ণু হাঁসদা।
আরও পড়ুন: Mamata banerjee: বছর শেষে সন্দেশখালিতে মুখ্যমন্ত্রী, কড়া নিরাপত্তা দ্বীপাঞ্চলে
শুরু হয় তল্লাশি
মৃতার পরিচয় জানার পর দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। সামসি স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ফুটেজে এক যুবকের সঙ্গে মহিলাকে দেখা গিয়েছিল। পরে স্টেশন থেকে ওই যুবক বেরিয়ে যাওয়ার পর মহিলাকে আর দেখা যায়নি। এরপরেই ওই যুবকের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশন থেকে রেল পুলিশের জালে ধরা পরে আবু তাহের নামে ওই যুবক। রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে চেপে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল আবু তাহের, দাবি রেল পুলিশের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বৃহস্পতিবার রাতেই খুন করা হয়েছিল ওই মহিলাকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেয় খুনি। শনিবার ঘটনাস্থলে যায় সিআইডি ও ফরেনসিক টিম। তাঁরা ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন।
সম্পর্কের মাশুল
তাহলে কি ধৃতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার মাশুল গুনতে হলো মহিলাকে? ওই মহিলার সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিল আবু তাহেরের? নিজের জীবনের কাঁটা সরাতেই কি আততায়ী খুন করেছে তাঁকে? সম্পর্কে অবনতির কারণেই কি মহিলাকে খুন? জল্পনা চলছে চাঁচল থেকে কালিয়াগঞ্জে। উত্তর খুঁজতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তারই মধ্যে উঠছে ন্যায়বিচারের দাবি।