Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নেপালের ইতিহাসে (Sushila Karki) এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল শুক্রবার। দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কী এবার হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী। প্রবল রাজনৈতিক টানাপড়েন, ছাত্র-যুব আন্দোলন এবং সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব তুলে নেওয়ার জন্য সামনে এলেন এই বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ আইনবিদ।
শুক্রবার শপথ বাক্য পাঠ (Sushila Karki)
শুক্রবারই রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল তাঁকে প্রধানমন্ত্রী (Sushila Karki) হিসাবে শপথ বাক্য পাঠ করান। আপাতত আগামী ছয় মাসের জন্য তাঁকে দেশ চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ২০২৬ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রশাসনিক ভারসাম্য রক্ষাই হবে তাঁর মূল লক্ষ্য।

কার্কীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদির (Sushila Karki)
নেপালের এই রাজনৈতিক পালাবদলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র (Sushila Karki) মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়ে তিনি লেখেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের জন্য মাননীয়া সুশীলা কার্কীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। নেপালের শান্তি ও অগ্রগতির জন্য ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” বিদেশ মন্ত্রক থেকেও এসেছে শুভেচ্ছা বার্তা। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং পারস্পরিক উন্নয়নের দিকটি তুলে ধরেছে তারা।
পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বার্তা
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে মাননীয় শ্রীমতি সুশীলা কার্কীকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। পশ্চিমবঙ্গ ও নেপালের মধ্যে ভৌগোলিক সীমানা থাকলেও আমাদের মানুষের মধ্যে রয়েছে হৃদয়ের বন্ধন। এই বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় হোক।” কূটনৈতিক মহল মনে করছে, মমতার এই বার্তা দুই অঞ্চলের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে সাহায্য করবে, বিশেষত সীমান্তবর্তী এলাকার উন্নয়ন, বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: Disha Patani: সলমনের পর টার্গেটে দিশা, গুলিতে মেরে ফেলার ছক!
ছাত্র-আন্দোলন থেকে রাষ্ট্রের শীর্ষে
কার্কীর এই উত্থান কেবল রাজনৈতিক নয়, এক অর্থে সামাজিকও। নেপালের তরুণ প্রজন্ম সরাসরি তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য। নিজে প্রস্তাব গ্রহণের আগে তিনি দাবি করেছিলেন অন্তত এক হাজার জনের লিখিত সমর্থন। শেষপর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি স্বাক্ষর জমা পড়ে। তবে কার্কীর বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছিল আরও কয়েকটি নাম। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কুল মান ঘিসিং এবং কাঠমান্ডুর মেয়র তথা র্যাপার বলেন্দ্র শাহের নামও আলোচনায় ছিল।