ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্ষা এলেই জলজটে হাঁসফাঁস করে (Ghatal Flood Situation) পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও সংলগ্ন এলাকা। এবারে চিত্রটা আরও করুণ। শহর-গ্রাম তলিয়ে গেছে বন্যার জলে। এই জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখার জন্য মঙ্গলবার সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের তারকা সাংসদ দেব, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি এবং পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য (Ghatal Flood Situation)
জলমগ্ন ঘাটালের বুকে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় (Ghatal Flood Situation) বললেন, ঘাটালের এই দুরবস্থার মূল কারণ কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয়তা এবং ডিভিসির (DVC) অতিরিক্ত জল ছাড়া। তাঁর বক্তব্য, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান” দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। কেন্দ্র কোনও সাহায্য করেনি। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ১,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কাজ শুরু হবে বর্ষা শেষ হওয়ার পরেই।
“…কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে” (Ghatal Flood Situation)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “ডিভিসি যদি ড্রেজিং করত, তাহলে আরও ১০ হাজার কিউসেক (Ghatal Flood Situation) জলধারণের ক্ষমতা বাড়ত। কিন্তু গত ২০ বছর ধরে তারা কিছুই করেনি। বর্ষা এলেই জল ছেড়ে দেয়, ভাবেও না তার প্রভাব কী হবে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গ বারে বারে প্লাবিত হয়, ঠিক যেমন নেপালে বৃষ্টি হলে উত্তরবঙ্গ ডুবে যায়। জল জমা ও বন্যা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ পুকুর খনন করেছে বলেও জানান তিনি। তবুও কোথাও কোথাও জল জমে থাকার প্রসঙ্গে আক্ষেপ করেন এবং বলেন, “এই অত্যাচার আর সহ্য করব না। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: Calcutta HC: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জামিন দুই পুলিশ কর্মীর, হাইকোর্টে জোর ধাক্কা CBI-এর
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “প্রয়োজনে নতুন বাঁধ তৈরি করব, যাতে ডিভিসির জল নিয়ন্ত্রণ করা যায়।” তিনি দাবি করেন, বিজেপি শাসিত রাজ্য যেমন বিহার, অসম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য পায়, অথচ পশ্চিমবঙ্গ চিরকাল বঞ্চিত হয়। এই অবস্থায় ঘাটালের সাংসদ দেবও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি আগেই বলেছেন, ডিভিসির জলের ছাড়ার পাশাপাশি অতিবৃষ্টিই বন্যার মূল কারণ। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো গেছে বলে দাবি তাঁর।