ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিতর্কিত স্যালাইন কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। মেদিনীপুর হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদেরই কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চিকিৎসকেরা দায়িত্ব পালন করলে মাকে বাঁচানো যেত বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। এই ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আরএমও এবং এমএসভিপিও।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। অভিযোগ, স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। পরে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে অসুস্থ হয়ে পড়া প্রসূতিদের এক জনের সন্তানও প্রাণ হারিয়েছে। এই ঘটনায় চিকিৎসকদের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সাফ জানান, চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করলে এই পরিস্থিতি হত না।
আরও পড়ুন: Midnapore Saline News: সুস্থ হয়েও সন্তানহারা মা, বিতর্কিত স্যালাইনে মৃত্যু সদ্যোজাতের
সাসপেন্ড ১২ চিকিৎসক (Mamata Banerjee)
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যু কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। হাসপাতালের সুপার-সহ জুনিয়র এবং সিনিয়র মিলিয়ে মোট ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করল রাজ্য। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যদপ্তর ও সিআইডির জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত চলবে। একইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দরজা পর্যন্ত সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ‘একই সময়ে সরকারি হাসপাতালেও কাজ করব, বেসরকারি হাসপাতালেও করব, এটা হতে পারে না’। মুখ্যমন্ত্রী জানান, খবর আছে, চিকিৎসক দিলীপ পাল, ওই দিন হাসপাতালের বাইরে অস্ত্রোপচার করছিলেন। নবান্নর নির্দেশ , সব কেসেই সিনিয়র বা বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক, সঙ্গে থাকবেন সিস্টাররা, জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Veterinary Hospital: পোষ্যের চিকিৎসায় কলকাতায় নতুন হাসপাতাল
এদিন নবান্ন থেকেই মামণি রুইদাসের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতার পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি পরিবারের কেউ চাকরি করতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।