ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফের কাশ্মীর ঘিরে উদ্বেগ-আতঙ্ক-ভয়-চিন্তা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এক নৃশংস জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) প্রাণ হারালেন পশ্চিমবঙ্গের তিনজন পর্যটক। ভ্রমণের আনন্দ নিমেষেই মিশে গেল আতঙ্ক ও শোকের অন্ধকারে। রাজ্যের তিন বাসিন্দা—বৈষ্ণবঘাটার বিতান অধিকারী, সখেরবাজারের সমীর গুহ, এবং পুরুলিয়ার ঝালদার মণীশ রঞ্জন—এই হামলার শিকার হন। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েই তাঁদের জীবনের শেষ অধ্যায় রচিত হল।
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় বাংলার তিনজন বাসিন্দার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা রাজ্য। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Kashmir Attack: রক্তে লাল ভূস্বর্গ! পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু বাংলার ৩ বাসিন্দার
নিহতদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস (Pahalgam Terror Attack)
এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক টুইট বার্তায় বলেন, “কাশ্মীরের অত্যন্ত দুঃখজনক হিংসাত্মক ঘটনায় (Pahalgam Terror Attack) আমাদের রাজ্যের তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। এটি আমাদের সকলের জন্য একটি মর্মান্তিক মুহূর্ত।” তিনি জানান, দিল্লি বিমানবন্দরে নিহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৮টা ৩০ মিনিটে দেহ কলকাতায় পৌঁছনোর কথা। “আমাদের রেসিডেন্ট কমিশনারের দফতর দিল্লিতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমি নিজে তদারকি করছি এবং আমাদের সিনিয়র অফিসাররাও কাজ করছেন,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিহতদের মধ্যে বিতান অধিকারী ছিলেন ফ্লরিডার একটি বহুজাতিক সংস্থার কর্মী। স্ত্রী ও তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন এবং কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সমীর গুহ, একজন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, তাঁর স্ত্রী শবরীর সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হন।
আরও পড়ুন: Kashmir Terror Attack: ভূস্বর্গে রক্তস্নান, পহেলগামে জঙ্গি হামলা, টুইট অমিত, রাহুলের…
মণীশ রঞ্জন, আইবি-তে কর্মরত, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে হায়দরাবাদ থেকে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁদের পরিকল্পনায় ছিল বৈষ্ণোদেবী ভ্রমণ, কিন্তু সেই পরিকল্পনা রইল অসম্পূর্ণ (Pahalgam Terror Attack)। রাজ্যের শাসকদল ও সাধারণ মানুষ নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও শব্দই যথেষ্ট নয় এই শোক বোঝাতে। আমরা তাঁদের পাশে আছি, সবরকম সহায়তা করব।”
এই ঘটনায় গোটা রাজ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রশ্ন উঠছে—পর্যটন এলাকা কি সত্যিই নিরাপদ?