ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee on 21 July) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বলেন, “আমাদের সরকার বাংলা জুড়ে উন্নয়ন করেছে। ধর্মস্থান থেকে শুরু করে আবাস যোজনা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান-সব ক্ষেত্রেই আমরা এগিয়েছি। কেন্দ্র বঞ্চনা করেছে, তবু আমরা পিছপা হইনি।” তিনি দাবি করেন, বাংলা ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
“আমি চুপ থাকব না” (Mamata Banerjee on 21 July)
এর আগে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে (Mamata Banerjee on 21 July) কেন্দ্র থেকে একটি সার্কুলার পাঠিয়ে ১০০০-র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করে রাজস্থানে, মধ্যপ্রদেশে, ওড়িশায় পাঠানো হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, “এভাবে ক’জনকে জেলে দেবেন? এই চক্রান্ত বাংলায় চলবে না। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে।” ভাষা ও খাদ্যাভ্যাসকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজনীতিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “কে মাছ খাবে, কে ডিম খাবে, সেটাও ঠিক করে দিচ্ছে! এমনকি, বাংলায় কথা বললে দোকানে গিয়ে হেনস্থা করছে। বাইরে বাংলায় বললেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাংলার মানুষকে অপমান করলে, আমি চুপ থাকব না।”
বটবৃক্ষ তৃণমূল (Mamata Banerjee on 21 July)
এই অবস্থায় তিনি ঘোষণা করেন, ২৭ জুলাই থেকে রাজ্যে (Mamata Banerjee on 21 July) শুরু হবে ‘ভাষা আন্দোলন’। প্রতিবাদ হবে প্রতি শনি ও রবিবার। তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলন চলবে নির্বাচনের রেজাল্ট পর্যন্ত। বেশি করে বাংলা বলুন। সাহস থাকলে বাংলার গায়ে পড়ে দেখান।” তিনি এখানেই থামেননি। তিনি বলেন, “ড্যামেজ ম্যানেজ করে হবে না। আমাদের দলকে গাল দিয়ে শেষ করা যাবে না। ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখালে লাভ নেই। তৃণমূল এখন বটবৃক্ষ।”
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ২১ জুলাইয়ের ভাষণে দিল্লি কাঁপানোর বার্তা, বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন অভিষেক!
বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস!
সিপিএম এবং বিজেপি, দুই বিরোধীকেই একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “বামেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় টাকা খেয়ে বসে আছে। আর বিজেপি তো বাংলাবিদ্বেষে মাতোয়ারা। বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে। বাংলা নবজাগরণের ভূমি। যদি দরকার হয়, আবার ভাষা আন্দোলন হবে।” সবশেষে, ভাষণ শেষ করার আগে মমতা বলেন, “এবার বদল নয়, বদলা নয় জব্দ হবে, স্তব্ধ হবে। আমরা দর্শন দেব, তোমাদের বিসর্জন হবে।” এই ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার শপথে নতুন লড়াইয়ের ডাক দিলেন, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন এ লড়াই শুধু ভোটের নয়, এ লড়াই বাংলার মানুষের অধিকারের লড়াই।